দুই.
দরজার কাছে পৌঁছে গেল সে। দরজার গায়ে কান রেখে দাঁড়াল।
গোঙানিটা আসছে দরজার ওপাশ থেকে।
বন্ধ দরজাটায় হাত রাখল। ঠেলা দেয়ার আগে আবার দ্বিধা করতে লাগল।
এবারো জয় হলো কৌতূহলের।
দরজার নব চেপে ধরে মোচড় দিলো। ঠেলা দিতে খুলে গেল পাল্লাটা। মরচে পড়া কব্জা ক্যাঁচকোঁচ করে উঠল।
নাকমুখ এমন করে কুঁচকে ফেলল রেজা, যেন বদ্ধ কামরার ভাপসা গন্ধ নাকে এসে ধাক্কা মেরেছে। পিছিয়ে গেল এক পা। আবার আগে বাড়ল। দরজায় দাঁড়িয়ে আলো ফেলল ঘরের ভেতরে।
অন্ধকার চিরে দিলো উজ্জ্বল আলোকরশ্মি। ঘরের কোথায় কী আছে দেখতে লাগল।
কোণের দিকে আলো পড়তেই স্থির হয়ে গেল হাত।
একটা কফিন!
ওটার ভেতর থেকেই আসছে গোঙানির শব্দ।
ধীরে ধীরে ফাঁক হলো কফিনের ডালা। ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো একটা ফ্যাকাশে হাত। তর্জনী নেড়ে রেজাকে ভেতরে ঢোকার আমন্ত্রণ জানাল।
পা দুটো নিজের নিয়ন্ত্রণে নেই যেন আর। সম্মোহিতের মতো এগিয়ে চলল সে। অদ্ভুত এক আকর্ষণ যেন টেনে নিয়ে চলেছে ওকে। শিরদাঁড়া বেয়ে আতঙ্কের ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে গেল।
ঘরের মাঝামাঝি এসে থমকে দাঁড়াল। পালানোর জন্য ক্রমাগত আদেশ দিয়ে চলেছে মগজ। কিন্তু পা দুটো যেন শিকড় গেড়ে ফেলেছে মেঝেতে। নড়তে চাইছে না। চিৎকার করার জন্য মুখ খুলল। শব্দ বেরোল না। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা