২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

আটত্রিশ
তাদের যুগ চলে গেছে। এখন আমাদের যুগ। বর্তমানকে বুঝে সে-মতো চলতে না পারলে অস্তিত্বই টিকিয়ে রাখতে পারব না আমরা।’
জোরাল গুঞ্জন। জনতাকে চুপ করাতে হাত তুললেন জেফরি। ‘এত উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই। এখনই ভোট দিয়ে দিচ্ছি না আমরা। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করব। ভাবনা-চিন্তা করব। নিজেদের কোনো রকম ক্ষতির আশঙ্কা দেখলে থিম পার্কের পক্ষে ভোট দেবো না।’
‘যা বললেন, তাতেই আমি খুশি,’ বিগ্স্ বলল। ‘পরে আরো মিটিং দরকার হবে আমাদের।’
‘হ্যাঁ, হবে। এত বড় একটা সিদ্ধান্ত, এক মিটিংয়েই নেয়া যায় না,’ জেফরি বললেন। ‘তবে এখন আমি সমস্ত গ্লিটারবাসীকে অন্য একটা অনুরোধ জানাব। অনুরোধ করব রেজা ও সুজাকে থ্যাংকস-ভোট দিতে, কারণ ওদের সহযোগিতা না পেলে লূক-দানবের হাত থেকে রক্ষা পেতাম না আমরা। শহরটাকে ধ্বংস করে দিত লূক। ওর কাছ থেকেও একটা শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত আমাদের। অতিরিক্ত লোভ করা ভালো নয়। আমরাও করব না। অতি লোভ একটা জাতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে।’ হাত তুলে বললেন তিনি, ‘এখন, রেজা ও সুজা।’
মুহূর্তে ঘরের সমস্ত চোখ ঘুরে গেল দুই গোয়েন্দার দিকে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে কোনো দিন পড়েনি ওরা। অস্বস্তি বোধ করতে লাগল দু’জনে।
সবাই উঠে এসে ঘিরে ফেলল ওদেরকে। পিঠ চাপড়ানো, হাত মেলানো আর ধন্যবাদ জানানোর পালা চলল। সুজা নিশ্চিত, এত আন্তরিক, এত গর্বিত একটা জাতির উন্নতি হতে বাধ্য।

শুক্রবার সকাল। কুকুরের দল, স্লেজ আর রসদ গোছাতে জোসিকে সাহায্য করল দুই গোয়েন্দা। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement