০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

বাইশ.

কোনো মতে গিলে নিয়ে বাটিটা ফিরিয়ে দিলো। ঘরের চার পাশে তাকাল। সবাই সুপ খেতে ব্যস্ত। চোখ আটকে গেল দরজার দিকে। ‘রেজা,’ ফিসফিস করে বলল সে, ‘লূককে বেরিয়ে যেতে দেখলাম। চোখে চোরা চাহনি। দেখব নাকি কোথায় যান?’
‘চলো।’
জোসির দিকে তাকাল রেজা। ‘জোসি, আমরা বাইরে যাচ্ছি। কাজ আছে।’
‘খাওয়ার সাথে সাথে বাথরুম চাপল? সুপটা কি এতই খারাপ?’ হেসে জিজ্ঞেস করল জোসি।
রেজা হাসল, ‘না, বাথরুমে যাচ্ছি না। পরে বলব।’ সুজার হাত ধরে টান দিলো। ‘এসো।’
লূককে অনুসরণ করে শহরের পশ্চিম প্রান্তে চলে এলো দু’জনে। তাকে একটা কেবিনে ঢুকতে দেখল।
কেবিনটায় কেউ আছে বলে মনে হলো না। নিশ্চয়ই পটল্যাচ অনুষ্ঠানে চলে গেছে। চার পাশে তাকাল রেজা। একটা উঁচু টিলা চোখে পড়ল। ‘ওখানে উঠে বসলে কেবিনের ভেতরটা দেখতে পারব। চলো।’
টিলাটাকে ছোটখাটো একটা পাহাড় বলা চলে। প্রচুর গাছপালা জন্মে আছে। ওগুলোর ভেতর দিয়ে ওপরে উঠতে লাগল দু’জনে। চূড়ায় উঠে আবার কেবিনটা চোখে পড়ল। লূককে দেখা যাচ্ছে জানালা দিয়ে।
‘কী করছেন লূক?’ বিড়বিড় করল রেজা।
চোখের পাতা সরু করে তাকাল সুজা। কেবিনের পেছনের ঘরে দরজার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন লূক। চারপাশে তাকাচ্ছেন। হঠাৎ হাত বাড়িয়ে টান দিয়ে হুক থেকে দুটো স্নো-স্যু পেড়ে বাঁ বগলের নিচে চেপে ধরলেন। পার্কা থেকে কী যেন বের করে ছুড়ে দিলেন মেঝেতে।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement