০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


প্রতিশোধ নিতে ভয়ঙ্কর খুন

প্রতিশোধ নিতে ভয়ঙ্কর খুন - ছবি : সংগৃহীত

তুরাগ থানা এলাকার একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগ।
এ ঘটনায় মো. মনির হোসেন ও মো. ফরিদ নামে দুই হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র-ধারালো বটি ও রড উদ্ধার করা হয়েছে ।
পুলিশ জানায়, গত ২০ অক্টোবর রাতে তুরাগ থানাধীন উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টরের কাশবনে ঘেরা স্থানে ২টি অজ্ঞাতনামা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে তুরাগ থানা পুলিশ। দুটি লাশেরই চেহারা বিকৃত হয়ে যাওয়ায় তাদের শনাক্তকরণে পুলিশ জটিলতার মধ্যে পড়ে । বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে লাশ উদ্ধারের খবর প্রকাশিত হবার পরদিন ২১ অক্টোবর লাশ দুটি সনাক্ত করে তাদের স্বজনেরা। পরে স্বজনদের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তিদের পরিচয় জানা যায়। তারা হচ্ছে কামাল হোসেন (২৪) ও ইমন শেখ (২৫)।

এ ঘটনায় কামাল হোসেনের পিতা শেখ জলিল তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তুরাগ থানা পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্তে নামে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগ। মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় পরবর্তী সময়ে তদন্তভার অর্পণ করা হয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমে।

তদন্তভার নেয়ার পর বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্র ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর আদাবর ও শনির আখড়া এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে আসামি মনির হোসেন ও মো. ফরিদকে গ্রেফতার করে। মামলার তদন্ত এবং গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে এ নির্মম হত্যাকান্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য।

গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, তারা সবাই আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য। ডাকাত দলের অপর সদস্য রেজাউল ও আল-আমিনসহ রাজধানীর তুরাগ থানার বেড়িবাঁধ, উত্তরা এবং ফরিদপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি করতো। দিনের বেলা তারা কখনো রংমিস্ত্রি, কখনো গাড়ির চালক ও চালকের সহকারি হিসেবে কাজ করত।

গ্রেফতারকৃতরা জানায়, গভীর রাতে তারা সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে রাস্তায় চলাচলকারী প্রাইভেটকার ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সার পথরোধ করতো। তারপর ধারালো দা, বটি, লোহার রড ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে যাত্রীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা, মোবাইল, স্বর্ণালংকার লুটে নিত।

কাজ শেষে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করতো লুন্ঠিত মালামাল। এই ভাগাভাগি থেকেই সৃষ্টি হয় কোন্দল। বিভিন্ন সময় কামাল ও ইমন লুন্ঠিত মালামালের অধিকাংশ নিয়ে নেয়ায় বাকিদের মধ্যে এ নিয়ে সৃষ্টি হয় অসন্তোষ। তখনই প্রতিশোধ নিতে গ্রেফতারকৃত ফরিদ এবং মো. মনির কামাল ও ইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে।


আরো সংবাদ



premium cement
নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশে বন্ধ হলো সেই বিলের মাটি কাটা বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় বৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া উখিয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশী ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে জামায়াতের উদ্বেগ এমপি-মন্ত্রী-সচিবের আত্মীয় এগুলো দেখার প্রয়োজন নেই : ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ইসি সচিব বগুড়ায় শজিমেক ছাত্রলীগের ২ গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১৩ স্বর্ণের দাম ভরিতে আরো কমলো ১৮৭৮ টাকা গাজায় হামাস যোদ্ধা ও ইসরাইলি বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ চান্দিনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু আমলা ও পুলিশদের বিজেপির হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, অভিযোগ মমতার এডিবি প্রেসিডেন্টের সাথে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক

সকল