২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যেসব কারণে আফগানিস্তান বাংলাদেশের জন্য ভয়ংকর

- ফাইল ছবি

ক্রিকেটের ইতিহাসে পরিসংখ্যানের বিচারে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের চেয়ে খানিকটা এগিয়ে আছে। খুব পুরনো বলা না গেলেও বাংলাদেশ আফগানিস্তানের 'সিনিয়র' এ ক্ষেত্রে। তবু আফগানিস্তান নামটি যেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ক্ষেত্রে প্রায়শই ত্রাস সৃষ্টি করে।

আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সাতটি ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। এই সাত ম্যাচের মধ্যে তিনটিই জিতেছে আফগানিস্তান। প্রথম দেখাতেই ৩২ রানের জয় পেয়েছে আফগানিস্তান, বাংলাদেশের মাটিতেই। ২০১৪ সালের এশিয়া কাপের একটি ম্যাচের ঘটনা এটি।

এরপর বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ১০৫ রানের জয় পায়, ২০১৫ সালে। কিন্তু বাংলাদেশের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচ পর সমতায় থাকে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ২০১৬ সালে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তান হারে মাত্র ৭ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে ২ উইকেটের জয় তুলে নেয় আফগান ক্রিকেট দল। তবে তৃতীয় ম্যাচে ১৪১ রানের বড় জয় পায় বাংলাদেশ।

এরপর ২০১৮ সালের এশিয়া কাপেও দুই দলের মধ্যে সমতা। প্রথম দেখায় বাংলাদেশ ১৩৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ রানের জয় নিয়ে শেষ পর্যন্ত ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ।

অর্থাৎ অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও, পরিসংখ্যানে ও মাঠের লড়াইয়ে আফগানিস্তান বাংলাদেশের সাথে সমানে সমান প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে গিয়েছে বরাবর।

দক্ষতা নাকি মানসিক চাপ

ক্রিকেট বিশ্লেষক ও সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের সাথে কথা বলে বিবিসি বাংলা। ধারণা করা হয়ে থাকে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ম্যাচে বাংলাদেশের মানসিক দুর্বলতার বিষয়টি।

মি: নোমান এই ধারণার বিপক্ষে, তিনি মনে করেন, আফগানিস্তানের মানসিক দৃঢ়তা অনেক বেশি এজন্য তারা জিতে যায়- এটা ভুল। মাঠের খেলায় দক্ষতাই মূল ব্যাপার, খেলার আশিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে দক্ষতা, বাকিটা মানসিক ব্যাপার।

"টি-টোয়েন্টিতেও ৩-০তে জিতেছে এটা আফগানিস্তানের ক্রেডিট। বাংলাদেশ যখন কাগজে কলমে এগিয়ে থাকে, সেই ম্যাচগুলোতে একটা ভীতি কাজ করে। সেটা পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে।"

মি: নোমান উদাহরণ দিয়ে বলেন, "অস্ট্রেলিয়া বা ভারতের সাথে হারলে যত না সমালোচনা হবে তার চেয়ে আফগানিস্তানের ম্যাচে বেশি সমালোচনা হবে এটাও মাথায় কাজ করে।"

দক্ষতা কার কোথায় বেশি?

বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের লড়াই মূলত বাংলাদেশের ব্যাটিং বনাম আফগানিস্তানের স্পিন বোলিং, বলছিলেন নোমান মোহাম্মদ।

"স্পিন বোলিং বাংলাদেশ সামাল দিতে পারে না সাধারণত, দল নতুন ওদের স্পিন বোলিং বিশ্বমানের।"

রশিদ খান বিশ্ব ক্রিকেটে একটা মানদন্ড। বিশ্ব ক্রিকেটে রিস্ট স্পিনার কম সেক্ষেত্রে বাংলাদেশও খুব কম মুখোমুখি হয়।

"আফগানিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ স্পিন বোলিং ছাড়া সব ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে। ৩জন স্পিনার আছে আফগানিস্তানের। ৩টা স্পিনার যেখানে এগিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে পুরো বোলিং লাইন আপ এগিয়ে আছে এখানে ৩০ ওভার।"

তবে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে, বলছেন মি: নোমান। কোনো কোনো দিন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা অনেক ভালো খেলে। তার মতে, এই দুই দলের খেলা মূলত বাংলাদেশের ব্যাটিং বনাম আফগানিস্তানের স্পিন। সূত্র : বিবিসি।


আরো সংবাদ



premium cement
থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা

সকল