২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আমিরের দলভুক্তি যথার্থই ছিল

মোহাম্মাদ আমির প্রথম ম্যাচেই নিজেকে চিনিয়েছেন - ছবি : এএফপি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ মিশনের শুরুটা ভাল না হলেও তারকা পেসার মোহাম্মদ আমির ঠিকই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। প্রথমে দলে ডাক না পেলেও পরবর্তীতে পাকিস্তানী নির্বাচকরা শেষ মুহূর্তে আমিরকে দলভূক্ত করেন। আর ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে শুক্রবার ট্রেন্ট ব্রীজে ২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আমির আরো একবার তার জাত চিনিয়েছেন।

ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া ক্রিস গেইলকে ফিরিয়েছেন আমির। ফর্মহীনতার কারণেই পাকিস্তানের প্রাথমিক বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তিনি দলে ছিলেন না। ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয় করা পাকিস্তান এবার ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের শুরুটা করেছে দারুণ হতাশার। ক্যারিবীয় বিধ্বংসী বোলিংয়ের বিপরীতে পাকিস্তানী ইনিংস মাত্র ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায়, যা বিশ্বকাপে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর।

পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ গতকাল ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আর্শ্চয্যজনক হলেও সত্য বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে আমির ছিল না। তবে একটি বিষয় আমি এখানে বলতে চাই দলের মূল বোলার যখন নিয়মিত উইকেট বিহীন থাকে তখন সেটা অধিনায়কের জন্য অস্বস্তিকর হয়ে উঠে।’

বিশ্বকাপের আগে ১৪টি ম্যাচে বাঁহাতি পেসার আমি মাত্র ৫ উইকেট পেয়েছিলেন। বিশ্বকার শুরুর ঠিক আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও আমির রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে দলে ছিলেন। এমনকি পাকিস্তান দলীয় ব্যবস্থাপনার পক্ষ থেকে আমিরকে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভাল করতে না পারলেও বিশ্বকাপের দল থেকে তিনি বাদও পড়তে পারেন। ঐ সময়ই আমির ভাইরাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আর খেলতে পারেননি। তারপরেও পাকিস্তানী নির্বাচকরা আমিরকে দলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ইংলিশ ইনফর্ম ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে পাকিস্তানের অন্য বোলাররা মোটেই সুবিধা করতে পারেননি। আর সে কারনেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে আমিরের অভিজ্ঞতা নির্বাচকদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে।

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে যদিও আমিরের খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিল; কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলে ফিরেই তিনি আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। যদিও উইন্ডিজ বোলিং তোপে পাকিস্তানী ব্যাটসম্যানরা প্রথম ম্যাচে ছিল দারুন অসহায়। যেকোন পর্যায়েই ১০৫ রান রক্ষা করা একটি দলের বোলারদের জন্য কোনভাবেই সম্ভব নয়; কিন্তু তারপরেও আমির তার নিজেরটুকু করে দেখিয়েছেন। সাধারণত তিনি যে গতিতে বোলিং করেন কাল তার থেকে কিছুটা ধীরে বল করেছেন। তবে তার নিখুঁত লাইন ও লেংথের কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ উইকেট হারায়। পঞ্চম ওভারে শাই হোপকে বিদায়ের পর একে একে তুলে নিয়েছেন ড্যারেন ব্র্যাভো ও গেইলের উইকেট।

হতাশা দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হলেও টুর্নামেন্টের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ফিরে আসতে হলে এই গতি তারকার উপর আস্থা রাখতেই হবে, এটা অন্তত আমির প্রথম ম্যাচেই প্রমান দিয়েছেন। বাসস


আরো সংবাদ



premium cement