২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যেদিন দলে খেলার সুযোগ থাকবে না, নিজেই বলব ধন্যবাদ : ইমরুল

ইমরুল কায়েস - সংগৃহীত

১০ বছরের ক্যারিয়ার ইমরুল কায়েসের। দলে ধারাবাহিকভাবে খেলা হয় না তার। উত্থান-পতন তো রয়েছেই। এই যে কয়েকদিন আগে শেষ মুহূর্তে এশিয়া কাপে দলে জায়গা হয়েছে তার। এরপর কাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি। সাথে দলের জয়। অনুভূতিটা অন্যরকম হওয়ারই কথা। ম্যাচ শেষে ইমরুল সাংবাদিকদের জানালেন মনের সেই কথাগুলো।

'আমার সাথে অনেক খেলোয়াড়ের অভিষেক হয়েছে, যারা এখন দৃশ্যপটেই নেই। লক্ষ্য ঠিক রাখাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সব সময়ই বিশ্বাস করি, আমার ক্যারিয়ার এত দ্রুত শেষ হতে পারে না। নিজেকে সে কারণেই তৈরি রাখি জাতীয় দলের জন্য। যেদিন আর জাতীয় দলে খেলার সুযোগ থাকবে না, নিজেই বলব ধন্যবাদ।'

ক্যারিয়ারের উত্থান-পতন নিয়ে ইমরুল বলেন, 'যখনই সুযোগ পাই, চেষ্টা করি ভালো করতে। সব সময়ই সুযোগের অপেক্ষায় থাকি। খেলোয়াড়দের জীবনে উত্থান-পতন থাকে। টানা ভালো খেলা কঠিন। আমার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। আমি বাদ পড়লে, সে জায়গায় যে এসেছে ভালো খেলেছে বলে আমার আর প্রয়োজন হয়নি। যেহেতু দেশের হয়ে খেললে অনেক ভালো লাগে। আমি এ সুযোগের অপেক্ষায় থাকি।'

রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেন ইমরুল। ১৪০ বলে ১৪৪ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস খেলেন তিনি। ১৩ বাউন্ডারি ও ৬ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। এর ফলে ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ এক ইনিংসের মালিক বনে যান তিনি। এর আগে রেকর্ডটি ছিল তামিম ইকবালের। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩২ রান করেন তিনি।

 

সহজ জয় দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ এক জয় দিয়ে তিন ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শুরু করেছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের বিপক্ষে ২৮ রানের জয় পায় স্বাগতিকরা। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট যেতে থাকলেও একপাশ সামলে খেলা চালিয়ে যান ইমরুল কায়েস। তার ব্যাটে ভর করেই বাংলাদেশ ২৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায়। একই সাথে প্রথম ফিফটির দেখা পান সাইফুদ্দিন।

২৭২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। দলীয় ৪৮ রানের মাথায় আঘাত হানে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। ৮ম ওভারে বোলিংয়ে আসেন তিনি। ওভারের প্রথম বলেই তার শিকার জিম্বাবুয়ের সেফাস ঝুয়াও। বামহাতি এই ব্যাটসম্যান বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার আগে ২৪ বলে ৩৫ রান সংগ্রহ করেন।

এরপর ব্রেন্ডন টেইলরকে সাজঘরের পথ দেখান নাগিন ড্যান্সার নাজমুল ইসলাম অপু। ১০ম ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড হওয়ার আগে টেইলর ১৩ বল খেলে ৫ রান সংগ্রহ করেন।

১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দুই রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে মাঠ ছাড়েন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে ৩৪ বলে ২১ রান আসে।

২১তম ওভারে অপুর দ্বিতীয় শিকার হন সিকান্দার রাজা। তার করা ২১তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৮৮ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন ৭ রান করা রাজা।

সর্বশেষ মেহেদী হাসান মিরাজের ২৬তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ১০০ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন ক্রেইগ আরভিন। তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান।

মিরাজের করা দলীয় ৩৬তম ওভারে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন ২৬ রান করা পিটার মুর। দলীয় ১৪৫ রানের মাথায় আউট হন তিনি।

এরপরের ওভারে মাশরাফির করা ৩৭তম ওভারের তৃতীয় বলে ফজলে রাব্বির রানআউটের শিকার হয়ে ২ রানে ফেরেন ডোনাল্ড ট্রিপানো।

জিম্বাবুয়ে তাদের ৮ম উইকেট হারায় ৪১তম ওভারের প্রথম বলে মিরাজ নিজের বলে ক্যাচ নিয়ে ফেরান ১৬ বলে ২০ রান করা ব্রান্ডন মাভোটাকে।  

৪৯তম ওভারের চতুর্থ বলে মাহমুদুল্লাহর শিকার হন জারভিস। পরপর দুই ছয় হাঁকিয়ে পরের বলে মুশফিকের গ্লাভসবন্দী হন জারভিস।

শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ২৪৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে।

এরআগে ইমরুলের ব্যাটে ভর করে সম্মানজনক স্কোর করল বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েসের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি আর সাইফউদ্দিনের হাফ-সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭১ রান।

টসে জিতে চেনা প্রতিপক্ষের ‍বিরুদ্ধে মাঠে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে দলীয় ১৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪ রানে ফিরে যান ওপেনার লিটন দাস। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা অভিষিক্ত ফজলে মাহমুদ রাব্বিও হতাশ করেছেন। রানের খাতা খোলার আগেই একই ওভারের শেষ বলে ফিরে গেছেন তিনি। তেন্দাই চাতারার ওই এক ওভারে দুটি উইকেট হারিয়ে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ।

এরপর ক্রিজে আসা মুশফিকুর রহীম ভরসার পাত্র হয়ে ওঠার আগেই ফিরে যান ১৫ রানে। মুশফিক-ইমরুলের ৪৯ রানের জুটিতে বাংলাদেশ যখন লড়াইয়ে ফেরার প্রত্যাশা করছিলো তখনই মাভুতার বলে ‍উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মুশফিক। এরপর মোহাম্মাদ মিথুন অবশ্য কিছটা সঙ্গ দিয়েছেন ইমরুল কায়েসকে। মোহাম্মাদ মিথুন তিনি ৩৭ রান করেছেন ৪০ বল খেলে। যাওয়ার আগে ইমরুল কায়েসের সাথে ৭১ রানের জুটি গড়েছেন মিথুন। এই জুটিতেই বাংলাদেশের রান এক শ’ পার হয়।

মিথুনের বিদায়ের পর ২ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে চলে যায় দল। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ যথাক্রমে ১ ও শূন্য রানে ফিরে যান। ‍দুজনেই খেলেছেন চারটি করে বল। তবে এরপর ক্রিজে আসা সাইফুদ্দিন ইমরুলের সাথে জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যায় সম্মনজনক স্কোরের দিকে।

ত্রিপানোর করা ৪৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ৪৯তম ওভারে বিদায় নেন ইমরুল। তার আগে ১৪০ বলে ১৩টি চার আর ৬টি ছক্কায় তিনি করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ১৪৪ রান। এটি তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসও। এরপর সাইফউদ্দিন নিজের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন। ইনিংসের শেষ ওভারে বিদায় নেয়ার আগে তার ব্যাট থেকে ৬৯ বলে ৩টি চার আর একটি ছক্কায় আসে ৫০ রান। শেষ পর্যন্ত মাশরাফি ২ ও মুস্তাফিজ ১ রানে অপরজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।  

জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে জারভিস ৯ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। আর চাতারা ১০ ওভারে ৫৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। একটি উইকেট পেয়েছেন মাভুটা।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement
দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু দোয়ারাবাজারে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা : স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

সকল