সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রতিদিন অনুশীলন চলছে। কোচ স্টিভ রোডসের অধীনে কঠোর অনুশীলনে মগ্ন টিম টাইগার।
প্রতিদিনের মতোই পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে এসেছেন সংবাদকর্মীরা। নিউজ তৈরির জন্য গভীর মনযোগ সহকারে ক্রিকেটারদের অনুশীলন দেখছেন তারা।
সঙ্গে কিছু উৎসুক দর্শকও আছেন। এর মাঝেই শুরু হলো 'গণ্ডগোল'! পেছন থেকে কে যেন ঘাস-মাটি দিয়ে ঢিল মারছে। মানুষটাকে দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু ঢিল আসছে।
রাতের বেলা হলে কেউ কেউ ভুতের ভয়ও পেতে পারত। ঢিলের জ্বালায় অস্থির হয়ে দর্শক এবং সংবাদকর্মীরা ভাবলেন এবার একটু ঘটনা তলিয়ে দেখা যাক।
ধরা পড়ে লুকিয়ে থাকা সেই ব্যক্তি বাইরে বেরিয়ে এলেন। দেখা গেল তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং মাশরাফি বিন মুর্তজা!
মাশরাফি ঢিল ছুড়ছেন, এমন দৃশ্য আবার অনেকেই ভিডিও করেছেন। সেই ভিডিও আবার সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
আরো দেখুন : টেস্ট অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ, প্রস্তুতি ম্যাচের সৌম্য
নয়া দিগন্ত অনলাইন; ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ২১:৩১
আগেই আভাস পাওয়া গিয়েছিল, এবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের জন্য অধিনায়ক ঘোষণা করা হলো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। আর প্রস্তুতি ম্যাচের নেতৃত্ব দিবেন সৌম্য সরকার।
আঙুলের ইনজুরির জন্য জিম্বাবুয়ে সফরে নেই সাকিব। অস্ট্রেলিয়ায় চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে জানিয়েছেন, বিপিএলের আগামী আসরে মাঠে ফেরার আশা করছেন তিনি।
সাকিবের অনুপস্থিতে এর আগেও নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ। এবারো এর ব্যতিক্রম হলো না। নাজমুল হাসান জানিয়ে দিলেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সাকিবের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করবেন মাহমুদুল্লাহ।
তবে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি মুশফিকের নামটিই প্রস্তাব করেছিল। তবে বিসিবি সভাপতি তাতে সম্মত হননি। কারণটা তিনি নিজেই জানিয়েছেন, ‘আমাদের হাতে দুটি পছন্দ- মুশফিক আর রিয়াদ। মুশফিকুর পছন্দ হিসেবে খারাপ নয়। তারা আমাকে মুশফিকের নাম বলেছে। তবে আমি তাদের বলি, যদি মুশফিককে অধিনায়ক করা হয়, তবে তাকে অধিনায়ক রাখতে হবে। জিম্বাবুয়ে সিরিজে তাকে নেতৃত্ব দেয়া হলো, পরে সাকিব ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ফিরল, তখন কি হবে? আমি কি আবারও মুশফিককে নেতৃত্ব ছাড়তে বলব? এটা তো তার প্রতি অসম্মান হবে, আমি এটা চাই না।’
এদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশকে নেতৃত্ব দিবেন সৌম্য। ১৯ অক্টোবর বিকেএসপিতে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি হবে ২১ অক্টোবর। বাকি দুটি ২৪ আর ২৬ অক্টোবর।
এর পর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। প্রথম টেস্ট সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩ নভেম্বর শুরু হবে। আর দ্বিতীয়টি ১১ নভেম্বর ঢাকার মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
বড় খেলোয়াড় নন লিটন
‘বড় ইনিংস খেলে বড় খেলোয়াড়রা’- কথাটি লিটন দাসের হলেও সেই উক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। এশিয়া কাপে প্রথম চার ম্যাচে ভালো করতে না পারলেও ফাইনালে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি (১২১) করেন ওপেনার এই ব্যাটসম্যান। যেহেতু বড় ইনিংস খেলেছেন তাহলে তিনিও বড় খেলোয়াড়? না! নিজেকে বড় খেলোয়াড় মানছেন না। বুধবার মিরপুরে অনুশীলনের এক ফাঁকে বললেন, আমি এখনো বড় খেলোয়াড় হইনি।
এশিয়া কাপের ফাইনালে সেঞ্চুরির পর জাতীয় লিগে খেলতে নেমেই মাত্র ১৪০ বলে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকালেন লিটন। যেটি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের দ্রুততম ডাবল। ঘরোয়া ক্রিকেটে লিটন অবশ্য পরীক্ষিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে ঠিক মেলে ধরতে পারছিলেন না। এশিয়া কাপের সেঞ্চুরির পর আত্মবিশ্বাসী লিটন এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান।
এশিয়া কাপের সেঞ্চুরি ও জাতীয় লিগের ডাবল সেঞ্চুরির মাঝে আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিকে গুরুত্ব দিয়ে লিটন বলেন, ‘অবশ্যই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সেঞ্চুরি বেশি গুরুত্ব বহন করে। অনেক দিন ধরেই ব্যাকফুটে ছিলাম। পারফর্ম করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একই সাথে আমার জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। নিঃসন্দেহে বড় ব্যাপার। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স থাকে। ওটাই ঘাটতি ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। চেষ্টা করছি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করার। তবে আমি বলব না যে আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিটির পর পূর্ণ আত্মবিশ্বাস আছে। তবে আগে থেকে একটু চাপ মুক্ত আছি। আমার কাছে মনে হয় প্রতিটা ম্যাচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা সত্যি, একটি ম্যাচ অনেকের ক্যারিয়ারে অনেক প্রভাব ফেলতে পারে। পরের ম্যাচে কিন্তু আবার শূন্য থেকেই শুরু করতে হবে। আমার চেষ্টা শূন্য থেকে বড় কিছু করা।’
জিম্বাবুয়ে স্কোয়াডে তামিম না থাকায় লিটন দাস সিনিয়র ক্রিকেটারের ভূমিকায় থাকবেন। নিশ্চয়ই বড় ব্যাপার। তবে এটিকে ভিন্নভাবে দেখছেন না তিনি, ‘আমি দলে নিয়মিত ছিলাম, তাও না। তামিম ভাই ছিলেন নিয়মিত। তার সাথে সাথে সবাই আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। আমার নিয়মিত হওয়ার কোনো সুযোগই ছিল না। আমার সাথে যিনি সঙ্গী হবেন, তিনিও নতুন হবেন, আমিও নতুন। হ্যাঁ, আত্মবিশ্বাসের জায়গা থেকে একটু ভালো জায়গায় আছি। আগেও বলেছি, প্রতিটি ম্যাচ নির্ভর করে সেই দিনের ওপরে। প্রত্যাশার একটু চাপ তো থাকবেই। কিছু পেতে হলে কিছু দিতেও হবে। আমি জানি যে আমাকে রান করতে হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা