২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়ে যা বললেন মুশফিক

মুশফিকের ৯৯ রানের ইনিংসের উপর লড়াই করার পুঁজি পায় বাংলাদেশ। - ছবি: এএফপি

চলতি এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ১ রানের জন্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৭ম সেঞ্চুরি করতে পারলেন না মুশফিকুর রহিম। সেই ইনিংস শেষ হয়েছে আক্ষেপ দিয়ে। কিন্তু মুশফিকের ৯৯ রানের সেই ইনিংসে ভর করে দল পেয়েছে লড়াই করার মতো পুঁজি। আর তার করা রানের উপর ভর করে সম্বল ফাইনালের দেখা টাইগার বাহিনী।

এই এশিয়া কাপেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি প্রায় ২৪টি ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে ভীষণ চাপের মধ্যে খেলেছেন ১৪৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। ভীষণ চাপের মধ্যে মুশফিক কীভাবে খেলেন এমন অসামান্য সব ইনিংস? এ প্রশ্নটা পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান ও ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজার। ম্যাচ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মুশফিক এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন নিজের উপর আত্মবিশ্বাসই তাকে কঠিন মুহুর্তে দলের হাল ধরতে শক্তি যোগায়।

সেঞ্চুরি না পাওয়ায় কিছুটা আফসোস হয়তো আছে কিন্তু দিন শেষে দলের জয়ে তা অনেকটা চাপা পড়ে গেছে। নিজেদের ইনিংসের শুরুতেই ৪.২ ওভারে মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়ার পর সেখান থেকেই মোহম্মদ মিথুনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেলে তুলেন মুশফিক। ১৪৪ রানের একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশীপই বাংলাদেশ দলকে একটা সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যায়।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৯ রানে শাহিন আফ্রিদির বলে কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। তার ৯৯ রানের উপর ভর করেই ২৩৯ রানের লড়াকু পুঁজি পায় টাইগাররা। আর ম্যাচ শেষে ৩৭ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। আর তাই মুশফিকুর রহিমের হাতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মিথুনও দুর্দান্ত ব্যাট করেছে। শুরুতেই কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তাকে বলেছিলাম, ক্রিজে আমাদের থাকতে হবে। কিভাবে যেকোনো পরিস্থিতিতে ব্যাট করা যায় তা নিয়ে অনুশীলন করেছি। ভালো প্রস্তুতি ছিল। সেটা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি।

 

আরো পড়ুন: মুশফিক সেঞ্চুরি করলেই ঝড় তোলার চেষ্টা করতেন

নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:৪২

কি হলে কী হতো, সেসব এখব রুপকথা। তবে মুশফিকের ৯৯ রানে আউট হওয়াটা বেদনার, যা অনেক দিন কষ্ট দিবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের। আর মুশফিককে তো অবশ্যই। ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে  মাঠে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু কন্ডিশনকে বাগে আনার যে কোনো উপায় নেই। মরুর মাঝে তীব্র গরমে মুশফিকুর রহিম কখনো কখনো ভীষণ হাঁপিয়ে উঠছেন।

মাংসপেশিতে টান পড়েনি তো—মুশফিকের ক্লান্তিমাখা মুখটা কখনো কখনো এমন সংশয়ও জাগিয়ে তুলছে! ফিজিওর সাময়িক শুশ্রূষা নিয়ে আবারও উঠে দাঁড়াচ্ছেন। মুশফিক এভাবেই উঠে দাঁড়ান, উঠে দাঁড়িয়েছেন অতীতে। দল যত চাপে তার ব্যাট ততই হয়ে ওঠে চওড়া। চাপের মধ্যে মুশফিক বুধবারও লড়লেন। কিন্তু সেই লড়াইয়ের সমাপ্তি হলো বড় আফসোস নিয়ে। মুশফিক ফিরলেন ৯৯ রানে!

ওপেন ফেসে শাহিন আফ্রিদির বলটা ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু ভুল হলো লাইন বুঝতে। বল প্রত্যাশা অনুযায়ী ভেতরে আসেনি। কানা ছুঁয়ে সেটি ঠাঁই নিল সরফরাজ আহমেদের গ্লাভসে। মুশফিককে ফিরিয়ে শাহিন–সরফরাজের কী উল্লাস! নাহ, মুশফিক তার কাজটা করে গেছেন। ১২ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও পাকিস্তানকে ২৪০ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দেওয়া গেছে মুশফিকের ৯৯ রানের সৌজন্যেই।

পাকিস্তানিদের উল্লাসের কারণ, মুশফিক সেঞ্চুরি করলেই ঝড় তোলার চেষ্টা করতেন। দলের স্কোর আরও বড় করতেন। এসব তো হয়ইনি, বরং পেয়েছেন প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯৯ রানে আউট হওয়ার যন্ত্রণা। শুধু বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে কেন, এশিয়া কাপেই প্রথমবারের মতো কোনো ব্যাটসম্যান ফিরলেন সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ রান দূরে থেকে।

আফসোস–আক্ষেপ—এসব যদি দূরে সরিয়ে রাখেন, আজ মুশফিক যদি ওই ৯৯ রানের ইনিংসটাই না খেলেন, বাংলাদেশের ২৩৯ রানের স্কোর পাওয়াই কষ্ট! ইমরুলের সাথে হঠাৎ উড়িয়ে নেওয়া সৌম্য সরকারকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল আজ ‘সেমিফাইনালে’ রূপ নেওয়া মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটায়। কী করলেন বাঁহাতি ওপেনার? অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট বলটা অহেতুক পুল করতে গিয়ে শূন্যে তুলে দিয়ে শূন্য রানেই ফিরলেন। রঙিন পোশাকে উপেক্ষিত হয়ে পড়া মুমিনুল হক টুর্নামেন্টে তার দ্বিতীয় সুযোগটি পেলেন। তিনিও কী করলেন, শাহিনের গতির কাছে হার মেনে বোল্ড ৫ রানে। খানিক পরে লিটন দাসের স্টাম্প উপড়ে ফেললেন জুনায়েদ খান।

১২ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে আবারও পথে ফেরানোর দায়িত্ব বর্তাল মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনের ওপর। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এ দুজন চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৩১ রান যোগ করে দলকে বাঁচিয়েছিলেন। আজ জুটিটা হলো ১৪৪ রানের। দলকে নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছেন, মিঠুন একটা ধন্যবাদ পাবেন। কিন্তু পরক্ষণে তাঁকে কাঠগড়ায় উঠবে হবে দৃষ্টিকটু আউটের জন্য।

হাসান আলীর বলটা ওভাবে না চালালে সুন্দর ইনিংসটার সমাপ্তি ৬০ রানে শেষ হয় না। বাউন্ডারি মেরেছেন মাত্র ৪টি, মিঠুন এই তীব্র গরমে রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে ভীষণ তৎপর থেকে ৪৪ রান নিয়েছেন দৌড়ে। মিঠুন আত্মহুতি দিলেও মুশফিক তবুও ছিলেন। কিছুতেই হার মানব না—এ পণে যেন লড়ে গেছেন। চোট, কন্ডিশন সব উপেক্ষা করে পাকিস্তানকে চোখ রাঙিয়ে গেছেন। ৯ চারে ৯৯ রান, মুশফিকের সেঞ্চুরি পাওনাই ছিল। অথচ হলো না। শাহিন বলটা ভালো করেছেন, থিতু হয়ে মুশফিক আরেকটু সতর্ক হতে পারতেন—অনেক যুক্তিই আসতে পারে। তবে দিনশেষে মুশফিক দুষতে পারেন ভাগ্যকে। সাতে নামা মাহমুদউল্লাহও পারেননি শেষে ঝড় তুলতে।

৪১.৪ ওভারে মুশফিক যখন ফিরলেন, দলের স্কোর ৬ উইকেটে ১৯৭। চ্যালেঞ্জিং স্কোর পাওয়ার সম্ভাবনা তখনও শেষ হয়ে যায়নি। মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে আজ বিদ্যুৎ চমকায়নি, মেহেদী মিরাজ ছোট কাঁধে বড় দায়িত্ব নিতে পারেননি। মাশরাফি বিন মুর্তজা ব্যাটসম্যান হতে পারেননি। শেষ ৫০ বলে বাকি ৪ উইকেটে তাই ৪২ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ । স্লগ ওভারটা ভালোভাবে কাজে না লাগাতে পারার আফসোস, মুশফিকের সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ার আফসোস—শেষ পর্যন্ত আফসোসে না শেষ হয় আজকের ম্যাচ!

 


আরো সংবাদ



premium cement
বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল