২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কোহিলকে ছোঁয়া হলো না ফখরের

অল্পের জন্য রক্ষা পেল বিরাট কোহলির বিশ্ব রেকর্ড -

অনেক রেকর্ডই তিনি গড়েছেন এই সিরিজে। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচ সিরজের শেষ ওয়ানডেতে তিনি ৩৮ বছরের পুরনো বিশ্ব রেকর্ড ভেঙেছেন। দীর্ঘ প্রায় চার দশক ক্যারিবীয় কিংবদন্তী ভিভ রিচার্ডসের দখলে থাকা ওয়ানডেতে দ্রুততম এক হাজার রানের রেকর্ড রোববার নিজের দখলে নিয়েছেন।
আগের ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন, পাকিস্তানের পক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরিও করেছেন। তবে কোন দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি তিনি অল্পের জন্য ছুঁতে পারলেন না। বিরাট কোহলির সেই ইনিংসটি অক্ষতই থাকলো। এক ম্যাচ কম খেলেও ফখর জামানের সুযোগ ছিলো রেকর্ডটি দখলে নেয়ার; কিন্তু মাত্র ৪৩ রানের জন্য হলো না সেটি।

চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছয় ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বিরাট কোহিল করেছেন ৫৫৮ রান। যেটি কোন দ্বিপক্ষীয়  সিরিজে সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজের পাঁচ ম্যাচের পাঁচ ইনিংসে পাকিস্তানি ওপেনার ফখর জামান করেছেন ৫১৫ রান। এক ম্যাচ কম খেলে কোহলির চেয়ে ৪৩ রান পিছিয়ে তিনি। রোববার সিরিজের শেষ ম্যাচে ফখর ব্যক্তিগত ৮৫ রানে আউট হয়ে গেলে শেষ হয়ে যায় আরেকটি বিশ্ব রেকর্ডের সম্ভাবনা। অবশ্য পাঁচ ম্যাচের সিরিজের মধ্যে ফখরই এখন সবার উপরে। এই সিরিজের ৫ ম্যাচে তাঁর রানসংখ্যা ৫১৫। এই পথে তিনি ভেঙেছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ৪৬৭ রানের রেকর্ড। ২০০৯ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে সিরিজে এই মাইলফলক গড়েছিলেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার।

তবে আজ আরেকটি রেকর্ড হয়েছে ফখর জামানের। এই সিরিজে শুধু প্রথম আর শেষ ম্যাচেই ফখরকে আউট করতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। এরপর মাঝে তিন ম্যাচে তাঁর স্কোর যথাক্রমে—১১৭*, ৪৩* ও ২১০*। আজ আউট হয়েছে ৮৫ রান করে। অর্থাৎ আগের বার আউট হওয়ার পর থেকে এবারের আউট পর্যন্ত তিনি রান করেছেন ৪৫৫। 

এখানে ফখর টপকে গেছেন মোহাম্মদ ইউসুফের এক অনন্য রেকর্ডকে। পাকিস্তানের সাবেক এই ব্যাটসম্যান ২০০২ সালে একবার আউট হওয়ার পর থেকে পরের বার আউট হওয়ার মাঝে সর্বোচ্চ ৪০৫ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন। ফখর সেই রেকর্ডটাও লিখিয়েছেন নতুন করে (৪৫৫ রান) ।

সেই সিরিজে ছয় ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরি আর এক হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। সেখানে পাঁচ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরির পাশাপাশি ফখরের হাফ সেঞ্চুরি দুইটি। গড়ে অবশ্য ফখর জামান অনেক এগিয়ে। কোহলির গড় ছিলো ১৮৬, স্ট্রাইক রেট ৯৯। ফখর জামানের গড় ২৫৮, স্ট্রাইক রেট ১১১। তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা, সেটিও অবশ্য ছয় ম্যাচের সিরিজে। ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ছয় ম্যাচের সিরিজে তিনি করেছিলেন ৪৯১ রান।

আরো পড়ুন :

জোড়া সেঞ্চুরিতে শেষ ম্যাচেও রানের পাহাড় পাকিস্তানের
জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ ও পঞ্চম একদিনের ম্যাচেও আগে ব্যাট করে রানের পাহাড় গড়েছে পাকিস্তান। নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে তারা তুলেছে চার উইকেটে ৩৬৪ রান। উদ্বোধনী জুটিতে ইমাম উল হক ও ফখর জামানের দুর্দান্ত সূচনার পর ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন আরেক ইনফর্ম ব্যাটসম্যান বাবর আজম। ফখরের বিদায়ের পর ক্রিজে আাস বাবার ৭৬ বলে খেলেছেন অপরাজিত ১০৬ রানের ইনিংস।

জিম্বাবুয়েকে হোয়াইট ওয়াশ করার লক্ষ্য নিয়ে এই ম্যাচে মাঠে নেমেছিলো সরফরাজ আহমেদের দল। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান দলটিকে এনে দেন উড়ন্ত সূচনা। ২৫ ওভারে ১৬৮ রান তোলে এই জুটি। ব্যাক্তিগত ৮৫ রানে আগের ম্যাচের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান ফখর জামান ফিরে গেলও ইমাম উল হক পেয়েছেন ব্যাট টু ব্যাক সেঞ্চুরি। আগের ম্যাচে ১১৩ রানের ইনিংস খেলা ইমাম আজ আউট হয়েছে ১০৫ বলে ১১০ রান করে। আর তাকে সঙ্গ দিতে আসা বাবর আজমও যেন আগের ম্যাচগুলোতে ব্যাট করতে না পারার ক্ষোভটা ঝেড়েছেন জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর।


স্বভাবসুলভ ধীরস্থির ব্যাটিংয়ের খোলস ছেড়ে বাবর আজ ছিলেন মারমুখী ভঙ্গিতে। ৫৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা বাবর সেখান থেকে সেঞ্চুরিতে পৌছতে খরচ করেছেন মাত্র ২২টি বল। ইনিংসে ছিলো ৯টি চার ও দুইটি ছক্কা। বাবরের ক্যারিয়ারের অষ্টম ওয়ানডে সেঞ্চুরি এটি। আর এতে ভর করেই পাকিস্তান পৌছে যায় ৩৬৪ রানের পাহাড়ে।

 

বাউন্ডারি হাকিয়ে ফখর জামানের বিশ্ব রেকর্ড

রেকর্ড গড়ার জন্য তার প্রয়োজন ছিল মাত্র ২০ রান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পঞ্চম ওয়ানডেতে সেই লক্ষ্যে পৌঁছেছেন পাকিস্তানের হার্ড হিটার ফখর জামান। বাউন্ডারি হাকিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের হাজার রান পূর্ণ করলেন তিনি। এর ফলে দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ডও গড়লেন এই তরুণ পাকিস্তানী।

সিরিজের আগের ওয়ানডে ম্যাচগুলোতেও দুর্দান্ত ছিলেন ফখর জামান। উদ্বোধনী জুটিতে বিশ্বরেকর্ড ও পাকিস্তানের পক্ষে প্রথম ওয়ানডে ডাবল সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি আজ গড়লেন আরেকটি রেকর্ড। এর ফলে তিনি পেছনে ফেললেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তী স্যার ভিভ রিচার্ডসকে।

১৯৮০ সালে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২১তম ইনিংসে ভিভ পুরণ করেন এক হাজার রানের মাইলফলক। ফখর ১৮ ম্যাচে ১৮ ইনিংসেই প্রবেশ করেছেন হাজারি ক্লাবে।

উল্লেখ্য, ৩৮ বছর ধরে বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যানই ভিভ রিচার্ডসের রেকর্ডটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কেউ পারেননি। তবে তার পাশে বসেছেন কয়েকজন। তারা হলেন ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসন, জনাথন ট্রট, দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক ও পাকিস্তানের বাবর আজম। এরা ২১তম ওয়ানডে ইনিংসে হাজার রান পূর্ণ করেছেন। তাই এই চারজনই রেকর্ডের খাতায় বসেছেন ভিভের পাশে। কিন্তু আজ ফখর জামান এই পাঁচজনকে টপকে রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

সকল