মান বাঁচানোর ম্যাচে আফগানিস্তানের দেয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ফিরে গেছেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল। এরপরই তাকে অনুসরণ করেছেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। আগের ম্যাচের মতোই আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন তামিম। তবে এবার প্রথম ওভারে নয় এই যা পার্থক্য।
তৃতীয় ওভারে আউট হওয়ার আগে তামিম করেছেন ৫ বলে ছয় রান। আরেক ওপেনার লিটন দাসের সাথে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন সৌম্য সরকার। তবে তিনিও ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি।
সৌম্য ফিরে গেছেন ব্যক্তিগত ১৫ রানে। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে রান আউট হয়েছেন তিনি। আর লিটন দাস ফিরে গেছেন তিন বল পরেই। মোহাম্মদ নবীর একই ওভারের শেষ বলে রান আউট হয়েছেন তিনিও। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৩ উইকেটে ৩৫ রান।
শেষ দুই ওভারে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ
আগের দুই ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে আফগানরা। তাই এই ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচ। দেরাদুনে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে জয়ের জন্য ১৪৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে আফগানিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে তারা করেছে ১৪৫ রান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভারে দারুণ দাপুটে ব্যাটিং করে আফগানিস্তান। দলটির দুই ওপেনার পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে তোলেন ৪৩ রান। এসময় কোন উইকেট নিতে পারেনি বাংলাদেশী বোলাররা। মারকুটে ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ছিলেন আগ্রাসী। প্রথম ওভারেই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে ১৮ রান নিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন শাহজাদ। এর পরের তিনটি ওভারে নাজমুল ইসলাম, সাকিব আল হাসান ও আবু জায়েদ কিপটে বোলিং করলেও রানে গতি পুরোপুরি থামানো যায়নি।
তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই মারকুটে ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদকে ফিরিয়েছেন স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে শাহজাদকে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন এই স্পিনার। ২২ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় দলীয় সর্বেোচ্চ ২৬ রান করেছেন তিনি।
আর নবম ওভারে আরেক ওপেনার ওসমান গনিকে ফিরিয়েছেন পেসার আবু জায়েদ। উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহীমের কাছে ক্যাচ দিয়েছেন ওসমান। ২৬ বলে ১৯ রান করেছেন তিনি।
১০ ওভার শেষে আফগানিস্তান দুই উইকেট হারিয়ে তোলে ৬৪ রান। আর শেষ ১০ ওভারে তারা তুলেছে ৮১ রান। ৫৫ রানের উদ্বোধনী জুটির পর দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি ছিলো তৃতীয় উইকেটে আসগর স্টানিকজাই ও সামিউল্লাহ শেরওয়ানির ৩৬ রানের জুটি।
এক সময় বড় স্কোর চোখ রাঙালেও শেষ দুই ওভারে দারুণ বোলিং করেছেন বাংলাদেশর দুই ওপেনার। ১৮ ওভার শেষে আফগানদের রান ছিলো ৪ উইকেটে ১৩৫। সেখান থেকে ১৬৫-৭০ রান হওয়াটা স্বাভাবিক ছিলো। তবে আফগানদের দেড়শোর নিচে আটকে রাখার কৃতিত্ব দুই স্পিনারের।
১৯তম ওভারে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৭ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন নাজিবুল্লাহ জাদরানের উইকেট। আর ২০তম ওভারে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে সফল বোলার নাজমুল ইসলাম অপু মাত্র ৩ রান খরচ করে নিয়েছেন একটি উইকেট। এই দুটি ওভারই ম্যাচে ফিরতে সাহায্য করেছে বাংলাদেশকে। শেষ পর্যন্ত আফগানরা থেমেছে ৬ উইকেটে ১৪৫ রানে।
চার ওভার বোলিং করে ১৮ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়েছে নাজমুল ইসলাম অপু। এছাড়া আবু জায়েদ ২৭ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন। সাকিব আল হাসান ১৬ রানে নিয়েছেন একটি উইকেট।
শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ দলে ৩টি পরিবর্তন
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ দলে আর তিনটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে মরিয়া সাকিব বাহিনীর সাথে আজ যোগ দিয়েছেন অলরাউন্ডার আরিফুল হক ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
তারা এসেছেন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমানের পরিবর্তে। অন্যদিকে পেসার রুবেল হোসেনের জায়গায় এসেছেন পেসার আবু জায়েদ।
আফগানিস্তান দলেও এসেছে একটি পরিবর্তন। শাপুর জাদরানের পরিবর্তে খেলছেন আফতাব আলম।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা