২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ঈদ ও বন্যার জন্য : পরিকল্পনামন্ত্রী

-

ঊর্ধ্বমূখী মূল্যস্ফীতির হার দিয়ে নতুন অর্থবছরের পথযাত্রা। প্রথম অর্থাৎ জুলাই মাসেই বেড়েছে খাদ্য পণ্য ও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি। খাদ্য পণ্যের সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ হয়েছে। যা জুনে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছে। যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। এই বৃদ্ধির ব্যাপারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ঈদ ও সারা দেশে বন্যার কারণে এটি হয়েছে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন। তিনি জানান, জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ হয়েছে। যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঈদের কারণে মানুষ কেনাকাটা বেশি করেছে। তা ছাড়া বন্যার কারণে অনেক শাকসবজি নষ্ট হয়ে গেছে। সেই সাথে সরবরাহ চেইনের মধ্যে সমস্যা ছিল। তাই মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। তবে গ্যাসের দাম বাড়ার কারণেও কিছুটা মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, জুলাই মাসে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। আর শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশে।

 


আরো সংবাদ



premium cement