২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিআরআই ফোরামে কানেকটিভিটি জোরদারের আহ্বান শিল্পমন্ত্রীর

-

বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) আওতায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কানেক্টিভিটি জোরদারের সুযোগ বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, এ উদ্যোগ বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে অবদান রাখবে। কাক্সিক্ষত উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র ও উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সহযোগিতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বলে তিনি জানান। শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ কথা জানানো হয়।
দ্বিতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম উপলক্ষে চীন সফররত শিল্পমন্ত্রী গতকাল ‘ব্যাপক পরামর্শ, যৌথ উদ্যোগ এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সুফল ভোগের জন্য নীতি সহায়তা ও সম্মিলিত প্রয়াস জোরদারকরণ’ শীর্ষক থিমেটিক সেশনে বক্তৃতাকালে এ মন্তব্য করেন। বেইজিংয়ের চায়না ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের মাল্টিফাংশানাল হলে এ সেশন অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসঙ্ঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থার (ইউনিডো) মহাপরিচালক লি ইয়াংয়ের সঞ্চালনায় থিমেটিক সেশনে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন। এ সময় গণচীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফজলুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী মুক্ত অর্থনীতির উন্নয়ন এবং বহুপক্ষীয় বাণিজ্য স্বার্থ সুরক্ষায় বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ একটি সম্মিলিত প্রয়াস। এ উদ্যোগের সুফল ভোগে বাংলাদেশ এশিয়া অঞ্চল এবং এর বাইরের দেশগুলোর সাথে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্য কানেক্টিভিটি জোরদারে কাজ করছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং দ্রুত শিল্পায়নের মাধ্যমে বৈশ্বিক উন্নয়নের সাথে একীভূত হওয়ার বিষয়টিকে বাংলাদেশের উন্নয়ন নীতিতে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এ দেশের জাতীয় শিল্পনীতিতে টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে লিংকেজ স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে তিনি তুলে ধরেন।
যেকোনো রাষ্ট্রের একক প্রচেষ্টার চেয়ে আঞ্চলিক কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্মিলিত উদ্যোগ উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে অধিক কার্যকর উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, শিল্পায়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক বিনিময়, পর্যটন শিল্পের বিকাশ, জ্বালানি নিরাপত্তা, ইনোভেশন ও পরিবেশ সুরক্ষার মতো বিষয়গুলোতে সম্মিলিত উদ্যোগ দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে। বাংলাদেশে ব্যাপকহারে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন, দ্রুত শিল্পায়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রচুর সম্পদ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে চীন সহায়তার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করতে পারে। চীন ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার এবং গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
দ্বিতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম উপলক্ষে গতকাল ১২টি থিমেটিক সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্বের ১৫০টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে মোট ৫ শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেয়। আজ ২৬ এপ্রিল বিশ্বের ১৫০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম এবং উচ্চপর্যায়ের সভা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উদ্বোধন করবেন। উচ্চপর্যায়ের সভায় শিল্পমন্ত্রী আলোচনায় অংশ নেবেন।


আরো সংবাদ



premium cement