০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোন বইপড়–য়া পাঁচ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান

-

নটর ডেম কলেজ, ঢাকা প্রাঙ্গণে গতকাল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পরিচালিত দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের আওতায় ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রছাত্রীদের দুই দিনব্যাপী তিনপর্বের বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণ উৎসব উদ্বোধন করেছেন। এ উৎসবে ঢাকা মহানগরের ৯৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঁচ হাজার ৮৭২ জন শিক্ষার্থীকে গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় পুরস্কার প্রদান করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আয়োজিত ঢাকা মহানগরের দুই দিনব্যাপী পুরস্কার বিতরণ উৎসবের তিন পর্বে ৯৬টি স্কুলের পুরস্কার বিজয়ী মোট পাঁচ হাজার ৮৭২ জন শিক্ষার্থীকে স্বাগত পুরস্কার, শুভেচ্ছা পুরস্কার, অভিনন্দন পুরস্কার ও সেরাপাঠক পুরস্কার এই চারটি ধাপে পুরস্কার দেয়া হয়। গতকাল সকালে প্রথম পর্বে ৩৪টি স্কুলের এক হাজার ৯৫২ জন শিক্ষার্থীকে ও দ্বিতীয় পর্বের ৩৪টি স্কুলের এক হাজার ৯২২ জনসহ ৬৮টি স্কুলের তিন হাজার ৮৭৪ জনকে পুরস্কার দেয়া হয়। আজ শনিবার বেলা ৩টা থেকে তৃতীয় পর্বে ঢাকা মহানগরীর ২৮টি স্কুলের এক হাজার ৯৯৮ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেয়া হবে। লটারির মাধ্যমে প্রতি ১০ জন সেরাপাঠক পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্য থেকে একজন করে মোট ৩৩ জনকে দুই হাজার টাকা সমমূল্যের বইয়ের বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়। এ ছাড়াও লটারির মাধ্যমে প্রতিপর্বে দুইজন করে মোট চারজন অভিভাবককে দুই হাজার টাকা সমমূল্যের বইয়ের বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়।
এই উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑ বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের শুভানুধ্যায়ী ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অন্যতম ট্রাস্টি ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ড. ইফতেখারুজ্জামান, বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট আনিসুল হক, গ্রামীণফোনের হেড অব সাসটেইনিবিলিটি রাসনা হাসান এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
আজকের এই ঢাকা মহানগরের পুরস্কার বিতরণ উৎসবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ উপস্থিত পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীসহ আগত সবাইকে অভিনন্দন জানান। তিনি ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, পৃথিবীতে দু’ধরনের মহৎ মানুষ আছে। এক ধরনের মানুষ প্রকৃত বই পড়ে জাতিকে শিক্ষিত করার চেষ্টা করেছেন। আরেক ধরনের মানুষ বই না পড়েও জাতিকে শিক্ষিত বা সচেতন করার চেষ্টা করেছেন। এই দু’ধরনের মানুষেরই উদ্দেশ একই রকমের; মানুষের কল্যাণে কাজ করা।
অতিথিদের শুভেচ্ছা বক্তব্য পর্বে ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা যখন বই পড়বে, তখন ভাববে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষদের সাথে কথা বলছো। এমনটা বই পড়ার মাধ্যমেই সম্ভব।
উৎসবের এ পর্বে বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট আনিসুল হক ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বইয়ের জ্ঞানকে বাস্তবে কাজে লাগাতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের বিশিষ্ট পদার্থ বিজ্ঞানী আতাউল গণি স্যারের উদাহরণ দিয়ে বলেন, তিনি গবেষণা করে এমন একটি ট্রেন আবিষ্কার করেছেন, যা লাইন থেকে দুই ইঞ্চি উপর দিয়ে চলবে।
গ্রামীণফোনের হেড অব সাসটেইনিবিলিটি রাসনা হাসান বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কার্যক্রমের সাথে গ্রামীণফোন যুক্ত থাকতে পেরে গর্বিত। তিনি আরো বলেন, বই হচ্ছে জ্ঞানগর্ভ। ভালো এবং বেশি বেশি বই পড়তে হবে আর সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে পারলে সফলতা নিশ্চিত। সে লক্ষ্যে সবার জন্য চমৎকার সব বইয়ের একটি ই-লাইব্রেরি তৈরি করেছে গ্রামীণফোন এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যৌথ উদ্যোগে। আগ্রহী পাঠকরা পছন্দের বই পড়তে পারবেন ই-লাইব্রেরি িি.িধষড়ৎঢ়ধঃযংযধষধ.ড়ৎম ঠিকানায়।
দুই দিনব্যাপী উৎসবের এ বিশাল আয়োজনে সহযোগিতা করেছে গ্রামীণফোন লিমিটেড। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement