বুড়িচংয়ে নৌবাহিনীর সদস্যকে হত্যা

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ভানতি গ্রামে নৌবাহিনীর এক সদস্যকে রাতে হত্যা করে গোমতী নদীর পাশে লাশ ফেলে রেখেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে বুড়িচং থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে উপজেলার ভানতি গ্রামের মো: সফিকুল ইসলামের ছেলে নৌবাহিনীর সদস্য মো: মেহেরাব হোসেন ছুটিতে বাড়িতে আসার পথে আলেখারচর বিশ^রোড থেকে মায়ের কাছে মোবাইল ফোনে জানান, তিনি বাড়িতে আসার জন্য বিশ^রোড থেকে সিএনজিতে উঠেছেন। কিন্তু বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় তার মা ও বড় ভাইয়ের স্ত্রী তাকে খুঁতে বের হন। অপর দিকে স্থানীয় মেম্বার মো: কামাল হোসেন তার পুকুর থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধে দু’টি ব্যাগ দেখতে পেয়ে তা স্থানীয় মসজিদের বারান্দায় রাখার জন্য মাছ ধরার শ্রমিকদের বলেন।
মেম্বার মো: কামাল হোসেন জানান, তিনি ২০ ফেব্রুয়ারি রাত প্রায় ৩টার সময় জেলেদের নিয়ে তার পুকুর থেকে মাছ ধরে বিক্রয়ের জন্য যাওয়ার পথে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধে দু’টি ব্যাগ দেখতে পান। তখন তার সাথে থাকা মাছ ধরার শ্রমিকদের প্রশ্ন করেন এত রাতে এখানে কার ব্যাগ পড়ে আছে। যাও এগুলোকে মসজিদের বারান্দায় রেখে আস। এ সময় নিহত মেহরাবের মা বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে সাথে নিয়ে এসে বলেন যে, আমার ছেলে মেহরাব আসার কথা। এই ব্যাগগুলো তো আমার ছেলের। তারা আর্ত¥চিৎকার শুরু করে এক রকম পাগলের মতো হয়ে যান এবং ছেলেকে খুঁজতে থাকেন। তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন এসেও মেহরাবকে খুঁজতে থাকেন। খুঁজাখুঁজির একপর্যায় গোমতী নদীর কিনারায় মেহরাবের লাশ দেখতে পান।
পরে কামাল হোসেন মেম্বার বুড়িচং থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করে। বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ^াস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। তার গলা ও পেটে একাধিক ছুরির আঘাত রয়েছে। তদন্ত চলছে। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডিবি, পিবিআই ও বুড়িচং থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে রয়েছে।