রাজবাড়ীতে গাছ চুরির মামলায় ২ আওয়ামী লীগ নেতা কারাগারে

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু দিবালোক কুণ্ডু জীবন ও জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম সরোয়ার ঠাণ্ডু গতকাল বৃহস্পতিবার গাছ চুরির মামলায় জামিনের আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
জানা গেছে, রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু দিবালোক কুণ্ডু জীবন ও জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম সরোয়ার ঠাণ্ডুর বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকার গাছের গুঁড়ি চুরির অভিযোগে মামলা হয়। অভিযুক্ত দিবালোক কুণ্ডু জীবন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক যুবলীগ সভাপতি। রাজবাড়ীর জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট ২ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন পাংশার পাট্টা ইউপির নিভা গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে মো: মাসুক আহম্মেদ। মামলায় ছযজনকে আসামি করা হয়। আদালত এ মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পাট্টা ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়। চেয়ারম্যান তদন্তপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। বাদির বাবা ও চাচার নিজ রেকর্ডীয় সম্পত্তি থেকে ২৫টি মেহগনি গাছ, ১০টি জাম গাছ, ২টা সেগুন গাছ ৯ নভেম্বর কর্তন করে দিবালোক কুণ্ডু জীবন। যার আনুমানিক মূল্য ১০ লাখ টাকা। গাছগুলো কাটার পর পাট্টা ইউপির বাহের মোড়সংলগ্ন আকিরণ স’মিলে পাঠানো হয়। এ সময় বাদি বাধা দিলে তাকে আওয়ামী লীগ নেতার হুকুমে অন্য আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং জোরপূর্বক গাছের গুঁড়ি পাচার করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ৯ তারিখে এখানে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা সাজানো নাটক।
পাট্টা ইউপির বাহের মোড়সংলগ্ন আকিরণ স’মিলে মালিক গোলাম সরোয়ার ঠাণ্ডু গ্রেফতারের আগে জানান, ঘটনার দিন আমার মিলে কোনো গাছের গুঁড়ি আসেনি। এটি একটি আজগুবি গল্প। সম্প্রতি পাংশায় প্রতিপক্ষকে ফাসানো রাজনীতি শুরু হয়েছে। এটি সেই রাজনীতির অংশ।
মামলার অভিযুক্ত দিবালোক কুণ্ডু জীবন জানান, আমার জুট মিলের পাট ক্রয় কেন্দ্র রয়েছে বাহের মোড়ে। মামলার ২ নম্বর আসামি জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম সরোয়ার ঠাণ্ডু তা পরিচালনা করে থাকেন। মামলার বাদি মাসুক আহম্মেদের সাথে গোলাম সরোয়ার ঠাণ্ডুর জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই মামলা হয়েছে। আমাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। দিবালোক কুণ্ডু জীবন পার্থ জুট মিলের চেয়ারম্যান, ফার্মা জুট মিলের ভাইস চেয়ারম্যান, পাংশা রোটারি কাবের সভাপতি, পাংশা এয়াকুব আলী চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগারের কোষাধ্যক্ষ, রাজবাড়ী চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক, হিন্দু বোদ্ধ খ্রিষ্টান এক্য পরিষদের উপজেলা সেক্রেটারি, রাজবাড়ী প্রেস কাবে আজীবন সদস্য, জেলা রেড ক্রিসেন্টের আজীবন সদস্যসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতির সংগঠনের সাথে কাজ করেন। পাংশার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তার যথেষ্ট সুনাম আছে।