সূচক বাড়লেও লেনদেন একই
প্রথম আধ ঘণ্টায় ডিএসই সূচক বাড়ে ৮৩ পয়েন্ট- অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
- ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
গত মঙ্গলবার পর্যন্ত বড় ধরনের ধসের পর নানামুখী তৎপরতায় দেশের দুই পুঁজিবাজারে সূচক ঘুরে দাঁড়ালেও লেনদেন রয়েছে আগের অবস্থানেই। গতকালও দেশের বড় পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ছিল ২০০ কোটি টাকার ঘরে। একই অবস্থা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সিএসইতে। গতকাল ডিএসইতে সূচক বেড়েছে ৩২ পয়েন্ট। সিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ৯৬ পয়েন্ট। সূচকের উত্থানের পাশাপাশি লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে।
এর আগে সোমবার ও মঙ্গলবার বড় ধরনের ধসের কবলে পড়ে পুঁজিবাজার। মঙ্গলবার পর্যন্ত শেষ ৮ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্সের ৪১১ পয়েন্ট পতন হয়। এতে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারির ভিত্তি পয়েন্ট ৪ হাজার ৫৫ এর নিচে নেমে যায়। শেয়ারবাজারের এ অবস্থাকে ২০১০ সালের মহাধসের থেকেও খারাপ বলে অভিহিত করেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। দরপতনের প্রতিবাদ জানাতে মতিঝিলে অবস্থিত ডিএসইর আগের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন কিছু বিনিয়োগকারী। অবস্থার ভয়াবহতা অনুধাবন করে ২০ জানুয়ারি জরুরি বৈঠক ডেকেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া অর্থমন্ত্রণালয় থেকে সরকারি ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের নির্দেশনার খবরও পাওয়া যায়। পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিবের সাথে বৈঠক করেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রতিনিধিরা। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যালয়ে স্টেকহোল্ডারদের সাথে নিয়ন্ত্রক সংস্থার জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএসইসির কমিশনার স্বপন কুমার বালার সভাপতিত্বে বৈঠকে বিএমবিএ, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) এবং শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সভায় কমিশনের পক্ষ থেকে স্টেকহোল্ডারদের ২০ জানুয়ারির বৈঠকে শেয়ারবাজারের জন্য করণীয় এবং কার্যকরী প্রস্তাব রাখার জন্য আহ্বান করা হয়।
বিভিন্ন পক্ষের এমন নানামুখী তৎপরতায় গতকাল লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে বড় উত্থানের আভাস মেলে। লেনদেনের প্রথম আধ ঘণ্টায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের শেষ দিকে এসে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। এতে সূচকের উত্থানে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়। এর পরও দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৪টির। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৬৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৯১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৪২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ২৬২ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার। ১২ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ। এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছেÑ এবিএন টেলিকম, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, খুলনা পাওয়ার, নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং, জিনেক্স ইনফোসিস, এস এস স্টিল এবং বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৯১ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৩২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২১টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির।
ব্লক মার্কেট : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল ব্লক মার্কেটে মোট সাত কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যার আর্থিক মূল্য ১৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের। গ্রামীণফোন ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া ব্লকে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছেÑ বার্জার পেইন্টস, ব্র্যাক ব্যাংক, এম এল ডাইং, স্কয়ার ফার্মা ও স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা