২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাথরঘাটায় জেলেদের চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ

-

প্রজনন মওসুমে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে বরগুনার পাথরঘাটার এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী প্রত্যেক জেলেকে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও দেয়া হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ কেজি করে।

মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকন মো: সহিদ খাদ্যগুদামের সামনে এ চাল বিতরণ করেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলা কালমেঘা ইউনিয়নে প্রতি জেলেকে ২০ কেজি করে দেয়ার কথা শুনেছে জেলেরা। চাল নেয়ার পরে তারা মেপে দেখেন প্রতিজন জেলে ১২ থেকে ১৫ কেজি করে চাল পেয়েছেন।

এনিয়ে জেলেদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে।

সেলিম, জামাল, জাহাঙ্গীর হোসেন, কালামসহ একাধিক জেলে জানান, ‘আমরা জানি ২০ কেজি করে চাল দেয়া কথা। চেয়ারম্যান-মেম্বাররা বালতি দিয়ে মেপে আমাদের কম চাল দিয়েছে।’ তারা আরো জানান, ‘আমাদের মধ্যে প্রকৃত জেলেরা এ চাল পাচ্ছে না। যেসব লোক কখনো নদীতে মাছ শিকার করে নাই তারাও আজ চাল নিয়ে যাচ্ছে।’

পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছের প্রজনন বৃদ্ধি ও মা ইলিশ রক্ষার্থে এ বছরের ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তাই এ ২২ দিন বেকার হয়ে যাওয়া জেলেদের আর্থিক অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সময় প্রতি জেলে পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে।

কালমেঘা ইউনিয়র পরিষদের চেয়াম্যান আকন মো: সহিদ চাল কম দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, জেলেদের চাল ঠিক মতোই দেয়া হয়েছে। তবে শেষ দিকে চাল কম থাকায় জেলেদের চাল কম দেয়া হতে পারে।

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হুমায়ূন কবির বলেন, আমি এর আগে সার্বক্ষণিক ঘটনাস্থলে থেকেই পর্যবেক্ষণ করেছি। চাল কম দেয়ার বিষয়টি আমার চোখে পড়েনি।


আরো সংবাদ



premium cement