বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগের পরকিয়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় আল আমিন-(৩৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে চোখ উপড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে আল আমিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় সদর উপজেলার বরগুনা ইউনিয়নের দঃ হেউলিবুনিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় আল আমিনের মা রাশেদা বেগম বাদী হয়ে বুধবার রাতে সদর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগসহ ১২ জনকে আসামী করে বরগুনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বাদী রাশেদা বেগম অভিযোগ করেন, আসামীদের সাথে আমাদের পূর্ব থেকে জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো। তাই আসামীরা আমার ছেলে বিভিন্ন সময় খুনের হুমকী দিতো। চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগের সঙ্গে মামলার আসামী নারগিস এর সাথে পরকীয়া প্রেম চলে আসছিলো। এই পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দিতো আল আমিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামী ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগের হুকুমে ঘটনার দিন আল আমিনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চোখে মরিচের গুড়ো দিয়ে লোহার রড, রাম দা, ছেনা দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আল আমিনের দু’চোখ ক্ষত বিক্ষত করে। আল আমিনের ডাক চিৎকারে আমরা স্বাক্ষিরা ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে রেফার করেন। শেষে ওই দিন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আল আমিনকে ভর্তি করলে রাত ২.৪৫ মিঃ সময় আল আমিন মারা যায়। এ ব্যাপারে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুজ্জামান জানান, মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার করার অভিযান চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা