১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


চুয়াডাঙ্গায় শীত কমার সাথে সাথে বাড়ছে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া

-

চুয়াডাঙ্গায় শেষ হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। কমেছে তীব্র শীত, তবে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ। সহজেই আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। প্রতিদিনই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের ভর্তি করা হচ্ছে। এক দিনেই ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৩৩ শিশু। এ ছাড়াও জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় ডায়রিয়া আক্রান্ত এক শ’ শিশু।
সরেজমিন দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের মেঝে, বারান্দা, রোগী ওঠানোর সিঁড়ি, এমনকি অপারেশন থিয়েটারের সামনে পর্যন্ত রোগী রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গতকাল শনিবার ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৩৯ জন। এর মধ্যে দু’জন পুরুষ, ছয়জন মহিলা ও ৩৩ জন শিশু। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৫১।
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আয়েশা বেগম নামের এক শিশুর মা জানান, তিন দিন আগে তার মেয়ের ডায়রিয়া হয়েছে। দুই দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে, কিন্তু ভালো হয়নি। তাদের গ্রামে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত আরো দুই-তিনটি শিশুকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর অভিভাবক রোজিনা বেগম বলেন, হঠাৎ করেই গত বৃহস্পতিবার পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হয় তার শিশুর। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কিছুটা ভালো হয়েছে। তবে বমি থামলেও কমেনি ডায়রিয়া।
হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় অপারেশন থিয়েটারের সামনে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা অপর এক রোগীর বাবা বলেন, হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে এত রোগী তিনি আগে কখনো দেখেননি। ওয়ার্ডে জায়গা পাওয়া তো দূরের কথা, ওয়ার্ডের বারান্দা কিংবা সিঁড়িতেও জায়গা নেই। তাই শিশুসন্তানকে নিয়ে অপারেশন থিয়েটারের সামনেই বিছানা পেতেছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা: শামীম কবির বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দু’জন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আছেন, এর পরও বাড়তি রোগীর কারণে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। হাসপাতালে কলেরা স্যালাইনের সরবরাহ আছে, তবে তা পর্যাপ্ত নয়। এ জন্য কিছু কিছু রোগীকে বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে আনতে হচ্ছে। তবে খাবার স্যালাইন পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: মাহাবুবুর রহমান মিলন বলেন, এই শীতে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শিশুরা পাতলা পায়খানা ও বমি করা শুরু করলে দ্রæত তাদের হাসপাতালে আনার পরামর্শ দেন তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল