সাতক্ষীরায় পারিবারিক কলহের জেরে তিনজনের আত্মহত্যা

সাতক্ষীরায় পারিবারিক কলহের জেরে দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার রাতে ও শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বিছট ও শ্রীধরপুর এবং পৌর শহরের রাজারবাগান উত্তরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আত্মহননকারীরা হলোÑ আশাশুনি উপজেলা বিছট গ্রামের শহিদুল ইসলাম মোল্যার মেয়ে খাদিজা খাতুন (১৩), একই উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের আবদুল আজিজ গাজীর ছেলে মেহেদি হাসান (৩০) ও সাতক্ষীরা পৌর শহরের রাজারবাগান উত্তরপাড়া এলাকায় বসবাসকারী তালা উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের প্রদীপ কুমার পালের ছেলে সুমন কুমার পাল (২১)। খাদিজা খাতুন আশাশুনির আনুলিয়া পাইওনিয়ার বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ও সুমন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে আশাশুনি উপজেলার বিছট গ্রামের শহিদুল ইসলাম মোল্যার মেয়ে খাদিজা খাতুন শনিবার রাতে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে আশাশুনি থানার পুলিশ রোববার দুপুরে মৃতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ দিকে নিজের পছেন্দের বিয়ে মেনে না নেয়ায় বাবা-মা’র ওপর অভিমান করে শুক্রবার দুপুরে বাড়ির দোতলার একটি কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে আশাশুনি উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের আবদুল আজিজ গাজীর ছেলে মেহেদি হাসান।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার দেবনাথ পৃথক দু’টি আত্মহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় থানায় পৃথক দু’টি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে
অপর দিকে খরচের টাকা দিতে না পারায় দরিদ্র বাবা-মার ওপর অভিমান করে সাতক্ষীরা পৌর শহরের রাজারবাগান উত্তরপাড়া এলাকার রইচ উদ্দিনের ভাড়া বাড়িতে বসবাসকারী তালা উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের প্রদীপ কুমার পালের ছেলে সুমন কুমার পাল শনিবার রাতে ঘরের ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, খুবই গরিব পরিবারের ছেলে সুমন শহরের রাজারবাগান এলাকায় রইস উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকত। টাকার প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়েছিল সে। কিন্তু গরিব বাবা মা টাকা দিতে না পারায় অভিমান করে ফিরে এসেছিল। শনিবার রাত ৯টার দিকে তাকে তার ভাড়া বাড়ির কক্ষে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় লোকজন।