২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাইলটের উপস্থিত বুদ্ধিতে রক্ষা পেল উড়োজাহাজের শত প্রাণ

-

মিয়ানমারের এক বিমানচালকের উপস্থিত বুদ্ধি ও দক্ষতায় বেঁচেছে প্রায় ১০০ মানুষের প্রাণ। রোববার বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার নষ্ট হয়ে গেলেও সামনের চাকা ছাড়াই দারুণ দক্ষতার সঙ্গেই রানওয়েতে অবতরণ করিয়েছেন তিনি।

ল্যান্ডিং গিয়ার কাজ করছিল না। তা সত্ত্বেও সামনের চাকা ছাড়াই পাইলট উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করালেন। মিয়ানমারের মান্দালয় বিমানবন্দরে রোববার এ ঘটনা ঘটে।

মিয়ানমার ন্যাশনাল এয়ারলাইনসের ওই উড়োজাহাজ ইয়াঙ্গুন থেকে মান্দালয়ের দিকে যাচ্ছিল। এমব্রায়ে ১৯০-এর পাইলট ক্যাপ্টেন মিয়াত মোয়ে উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করানোয় প্রশংসিত হয়েছেন। উড়োজাহাজের ৮৯ জন যাত্রীর কেউ আহত হননি।

মিয়ানমার এয়ারলাইনস বলছে, মান্দালয় রানওয়েতে অবতরণের সময় পাইলট উড়োজাহাজের সামনের ল্যান্ডিং গিয়ার খুলতে ব্যর্থ হন। নিশ্চিত হওয়ার জন্য তিনি বিমানবন্দরের ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের সামনে দিয়ে দুবার উড়ে যান। পাইলট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য উড়োজাহাজের সব জ্বালানি ব্যবহার করেন। এতে উড়োজাহাজের ওজন কমে যায়।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানটির সামনের অংশ মাটিতে ঘষতে ঘষতে যাচ্ছে। থামার আগে ২৫ সেকেন্ড ধরে উড়োজাহাজটি এভাবে ঘষতে ঘষতে যায়। মিয়ানমারের পর্যটনমন্ত্রী উইন খান্ত রয়টার্সকে বলেন, পাইলট দারুণ কাজ করেছেন।

মিয়ানমার বেসামরিক বিমান চলাচল দফতরের উপ মহাপরিচালক ই তুত অং বলেন, চালক বেশ কয়েকবার সামনের অবতরনের চাকা খোলার চেষ্টা করেছেন। প্রথমে কম্পিউটার কমান্ডে, তারপর সরাসরি। তিনি বলেন, তারা দুইবার আকাশে উড়তে থাকা অবস্থাতেই ফ্লাইট টাওয়ারে জিজ্ঞাসা করছিলেন যে সামনের চাকা নেমেছে কি না।

এটাকে কারিগরী ত্রুটি উল্লেখ করে ইয়ে তুত বলেন, তাদেরকে পেছনের চাকা ব্যবহার করতে হয় এবং চালক খুবই দক্ষতার পরিচয় দিয়ে সবার জীবন বাঁচান। তিনি বলেন, বিমানটি পরীক্ষার জন্য প্রকৌশলীদের পাঠানো হয়েছে।

এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, তারা এভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে ঘটনা তদন্তে পূর্ণ সহায়তা করবেন।

সো মো নামে বিমানের এক যাত্রী বলেন, আমরা যখন অবতরণ করি তখন ধোঁয়া উঠছিলো। তবে সব যাত্রীরা নিরাপদ আছেন। রয়টার্স ও গার্ডিয়ান।


আরো সংবাদ



premium cement