২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাখাইনে আরাকান আর্মির ফের হামলা, মিয়ানমারের ২০ সেনা নিহত

রাখাইনে আরাকান আর্মির ফের হামলা, মিয়ানমারের ২০ সেনা নিহত - সংগৃহীত

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন প্রদেশে দেশটির সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে আবারো আরাকান আর্মির বিদ্রোহীরা হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে সেনাবাহিনীর দু’টি আর্টিলারি ঘাঁটিতে আরাকান আর্মির ওই হামলায় মিয়ানমারের অন্তত ২০ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।

রাখাইনের বুথিয়াডংয়ে সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনসহ পুরো একটি স্কোয়াডের সব সদস্যকে হত্যার তিন দিন পর মঙ্গলবার আবারো হামলা চালালো আরাকান আর্মি। রাখাইনের ম্রাউক-ইউ শহরে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধ বিদ্রোহীদের এই সংগঠনের উপপ্রধান।

আরাকান আর্মির উপপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিও তুন অং বলেন, মঙ্গলবার রাতে বিদ্রোহীরা ৩১ নম্বর পুলিশ রেজিমেন্টে আক্রমণ চালায়। এই রেজিমেন্ট থেকে ২২ নং লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের ও ম্রাউক-ইউ শহরের লে নাইয়িন তং সেনা ঘাঁটির সেনা সদস্যরা প্রত্যেক দিন গোলাবর্ষণ করে। পরে লে নাইয়িন তং সেনা ঘাঁটি ও পুলিশ রেজিমেন্টে অতিরিক্ত সেনাসদস্য মোতায়েন করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সেখানে যাওয়ার পথে আরাকান আর্মির বিদ্রোহীরা সেনাসদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

আরাকান আর্মির এই উপপ্রধান বলেছেন, লে নাইয়িন তং সেনা ঘাঁটির কাছে আরাকান আমিূর সদস্য সেনাবাহিনীর সাতটি স্পিড বোট জ্বালিয়ে দিয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর সাতটি অ্যাসল্ট রাইফেল ও এমজি-৪২ মেশিন গান ছিনিয়ে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। জেনারেল নিও তুন অং বলেন, ম্রাউক-ইউ শহরের পার্বত্য অঞ্চলে গোলাবর্ষণের প্রধান ঘাঁটি ছিল পুলিশের এই রেজিমেন্ট। তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত এবং বুধবার সকাল পর্যন্ত চলা লড়াইয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তিনটি যুদ্ধবিমান ও দু’টি বোমারু বিমান ব্যবহার করেছে। রাখাইনের অধিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়াইরত জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধ বিদ্রোহীদের এই সংগঠনের মুখপাত্র ইউ খিয়াইন থুখা বলেন, আরাকান আর্মি ওই দু’টি আর্টিলারি ইউনিটের কিছু যুদ্ধবন্দীকে আটক করেছে। তবে তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিতে রাজি হননি। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ্য মিন তুন রাখাইনে মঙ্গলবার রাতে আরাকান আর্মির বিদ্রোহীদের সাথে সংঘর্ষে কিছু সেনাসদস্যের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে ঠিক কতজন মারা গেছেন, সে ব্যাপারে পরিষ্কার কোনো তথ্য দেননি তিনি।

সুশীলসমাজকে সহায়তা দেবে ইইউ
মিয়ানমারের সুশীলসমাজকে স্থানীয় ও জাতীয় স্তরে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে এবং সেই পরিবেশ তৈরি করতে সহায়তা করার লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি চালু করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। মিয়ানমারের নাগরিক সমাজের সাথে অংশীদারিত্ব শক্ত করতে ইয়াংগুনে গত সপ্তাহে ইউরোপের এই কৌশলটি চালু করা হয়েছে।

২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চালু থাকা মিয়ানমারের নাগরিক সমাজের সাথে যুক্ত থাকা ইইউর রোডম্যাপ কর্মসূচির বর্ধিতাংশ এই নতুন কর্মসূচি। কর্মসূচিটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মিয়ানমারে সুশীলসমাজ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ইইউর ১২০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মিয়ানমারে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিয়ান শিমিড বলেন, মিয়ানমার পূর্ণ গণতন্ত্রের দেশ হওয়ার জন্য সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সেই লক্ষ্য পূরণে সুশীলসমাজকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের ব্যাপক আকাক্সক্ষাগুলোকে তুলে ধরা হবে। একইসাথে জনগণের চাহিদা ও কথা যাতে উচ্চপর্যায় পর্যন্ত পৌঁছায় সেই লক্ষ্যে কাজ করা হবে। তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারের ইতিহাস ও বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো মাথায় রেখে সেদেশের নাগরিক সমাজকে সমতা, ন্যায্যতা, ন্যায়বিচার ও শান্তিপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় স্থান দেয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রাজধানী ইয়াংগুনসহ সারা দেশে সংলাপ, সুশীলসমাজে প্রস্তাবিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণা, বিভিন্ন সুশীলসমাজ সংগঠনগুলোর (সিএসওএস) যোগাযোগ ও প্রচারমাধ্যম হিসেবে নিউজলেটার ও ফেসবুক পেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আগামী দুই বছরে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

সিএসওএসয়ের সবসময়ই সাহায্য প্রয়োজন বলে মনে করেন স্টেট ইউথ নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা কি জ লুইন। তিনি আশা করেন কর্মসূচিটি তাদের সব সাহায্যে কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে। খবরে বলা হয়েছে, সুশীলসমাজের বিভিন্ন সংগঠনকে বাজেটের জন্য লড়াই করতে হয়। যদি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো তাদের সাহায্য করে তাহলে তাদের ভূমিকা অদূর ভবিষ্যতে আরো উন্নত ও সম্প্রসারিত হবে। অংশগ্রহণকারীরা সুশীলসমাজকে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন সব চ্যালেঞ্জ এবং তা উত্তরণের উপায় নিয়ে পর্যালোচনা করেন। অপর একটি প্যানেল ভবিষ্যতের দিক নির্ধারণ এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সুশীলসমাজের ভূমিকা নিয়ে গুরুত্বারোপ করে।

সূত্র : দ্য ইরাবতি


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

সকল