২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সমকামিতা ও ব্যাভিচার ইস্যুতে শরীয়া আইন চালু হচ্ছে ব্রুনাইয়ে

সুলতান হাসান আল বলকিয়াহ - ছবি : সংগৃহীত

ব্রুনেইয়ে শরীয়া আইনের আওতায় সমকামিতা ও বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক (ব্যভিচার) প্রমাণিত হলে পাথর ছুঁড়ে হত্যার বিধান চালু হচ্ছে।

ব্রুনাইয়ের সুলতান দেশব্যাপী ইসলামী শিক্ষার ওপর জোর দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ বুধবার এ নির্দেশনায় তিনি আরো জানান, দেশটিতে খুব শিগগির নতুন শরীয়া আইন চালু হতে যাচ্ছে।

রাজধানী বন্দর সেরিবেগাওয়ানের কাজে জনগণের উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে দেশটির সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী সুলতান হাসান আল বলকিয়াহ্ বলেন, ‘আমি দেশে ইসলামিক শিক্ষার ব্যাপক প্রসার দেখতে চাই।’ তবে তিনি নতুন আইনটি সম্পর্কে কিছু বলেননি। এর আগে ধারণা করা হচ্ছিল, তিনি নতুন আইনটি সম্পর্কে কিছু বলবেন।

ব্রুনাইয়ের সরকার এর আগে ঘোষণা দিয়েছিল, বুধবার থেকে শরীয়া আইনটি কার্যকর হবে। তেলসমৃদ্ধ দেশটিতে তিনি ৫১ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন।

তিনি আরো বলেন, ব্রুনাই হবে একটি ‘অবাধ ও সুখী’ দেশ। তিনি বলেন, ‘পর্যটকরা এদেশ থেকে খুব মধুর অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে যাবেন। তারা এখনকার নিরাপদ ও সৌহায্যপূর্ণ পরিবেশ খুব উপভোগ করবেন।’ সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট

 

আরো পড়ুন : মালদ্বীপে অনৈসলামি শিল্পকর্ম অপসারণ
টেলিগ্রাফ, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:০৪

মালদ্বীপে ব্রিটিশ শিল্পীর গড়া একটি শিল্পকর্ম ইসলামবিরোধী সাব্যস্ত হওয়ায় তা অপসারণ করা হয়েছে।

ব্রিটিশ ড্রাইভার ও প্রকৃতিবাদী ভাস্কর জ্যাসন ডিকেইরেস টেইলর মালদ্বীপের সিরু ফেন ফুশি রিসোর্টে কোরালারিয়াম নামের এ শিল্পকর্মটি তৈরি করেছিলেন। পানিতে অর্ধেক ডুবে থাকা এ শিল্পকর্মটি গত জুলাইয়ে উদ্বোধন করা হয়েছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে এটি সরিয়ে নেয়া হয়।

মেরিন প্রকৌশলী, স্টিল প্রকৌশলী, ছাঁচ নির্মাতাদের একটি দল ৯ মাস কাজ করে কোরালারিয়াম তৈরি করেছিলেন। কিন্তু মালদ্বীপ সরকার নির্দেশ দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা ভেঙে ফেলা হয়।

দ্বীপটির স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কোরালারিয়ামে মানুষ, গাছপালা, প্রবাল সব মিলিয়ে এক ধরনের মিশ্র শিল্পকর্ম তৈরি করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করায় ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ধারাবাহিকভাবে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন। গত জুলাইয়েই এটি অপসারণের আদেশ দেয়া হয়েছিল, কিন্তু সে সময় তা মানা হয়নি।

এরপরই দেওয়ানি আদালত সাত দিনের মধ্যে কোরালারিয়াম অপসারণের জন্য আল্টিমেটাম দেয়। আদালত তার আদেশে জানায়, এ শিল্পকর্মটি ইসলামী ঐক্য, শান্তি এবং মালদ্বীপের স্বার্থের প্রতি হুমকি। ইসলামি শরিয়ার পাঁচ ভিত্তি রক্ষা করতে এর অপসারণ খুবই জরুরি।

পুলিশের মুখপাত্র আহমদ শিফান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আমরা মালদ্বীপের জনগণকে জানাতে চাই যে, রিসোর্টটি তার দেয়া সময়ের মধ্যে আদালতের নির্দেশ মানেনি। এখন পুলিশ ও সেনারা মিলে তা সম্পাদন করবে। পর্যটন মন্ত্রণালয় জানায়, কোরালারিয়ামটি যথাযথ অনুমতি নিয়ে তৈরি করা হয়নি।

অবশ্য রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ ও ভাস্কর উভয়ই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা স্থানীয় কৃষ্টি-কালচার, মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে কোরালারিয়ামটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তটি খুবই দুঃখজনক।


আরো সংবাদ



premium cement