২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাখাইনে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত এখনো অনুপস্থিত : জাতিসঙ্ঘ

রাখাইনে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত এখনো অনুপস্থিত : জাতিসঙ্ঘ - ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এখনো পর্যন্ত কোনো তদন্ত করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেট। এক প্রতিবেদনে তিনি ২০১৭ সালের আগস্টে হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় উদ্বেগও প্রকাশ করেন।

মিশেল বাশেলেট বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে অবস্থান করা সাত লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে নিজে দেশে স্বেচ্ছায়, যথাযথভাবে, সসম্মানে ও নিরাপদে প্রত্যাবাসনের যথাযথ কোনো অবস্থা নেই। পাশাপাশি প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা ২০১২ সালে সহিংস ঘটনার পর থেকে কেন্দ্রীয় রাখাইন শিবিরে বসবাস করছেন।

গত বুধবার জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার পরিষদের ম্যান্ডেট অনুযায়ী, মিয়ানমারসহ নয়টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বাশেলেট। প্রতিবেদনে তিনি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।

প্রতিবেদনে জাতিসঙ্ঘে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি যথাযথভাবে চিহ্নিত করার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জাতিসঙ্ঘে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বাশেলেট আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের কোনো প্রতিনিধি থাকে না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ওপর তদন্ত করতে ২০১২ সাল থেকে মিয়ানমারে এ পর্যন্ত আটটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।

বাশেলেট জানান, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের চলাচলের স্বাধীনতার ওপর বৈষম্য সৃষ্টির পাশাপাশি ব্যাপক নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর করা ওই প্রতিবেদনটিতে মানবাধিকারের পাঁচটি প্রধান বিষয়ে মূল্যায়ন করা হয়। এগুলো হচ্ছে- নাগরিকত্ব, জনজীবন অংশগ্রহণ, মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা, স্থানচ্যুতি ও প্রত্যাবাসনের অধিকার এবং জবাবদিহি।

ওই প্রতিবেদনে ২০১৭ সালের আগস্টে হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। একই সাথে দেশটির সামরিক বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচারের ব্যর্থতার ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে কাচিন ও শান রাজ্যে সশস্ত্র সংঘাত ও অন্যান্য মানবিক ইস্যুগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে উত্থাপিত মানবাধিকার বিষয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই।

রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য প্রতিবেদনে বিশেষভাবে সুপারিশ করা হয়েছে, বিশেষ করে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি সিভিল সার্ভিসে পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্র তৈরি করা। প্রতিবেদনে চলমান পরিস্থিতির অবসানে দ্রুত ও দৃঢ় পদক্ষেপের নেয়ার কথা বলা হয়েছে। বাচলেট বলেন, মিয়ানমার সরকারের উচিত এক্ষেত্রে মূল সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে সেগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা আটক জীবন্ত মানুষকে গণকবর আগ্রাসন ও যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃষ্টির জন্য সারা দেশে ইসতিস্কার নামাজ আদায় আরো ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট তাপপ্রবাহ মে পর্যন্ত গড়াবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার ভূমিকা চায় যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎ গ্যাসের ছাড়পত্র ছাড়া নতুন শিল্পে ঋণ বিতরণ করা যাবে না মিয়ানমারে ফিরল সেনাসহ আশ্রিত ২৮৮ জন বিএনপি ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : কাদের

সকল