২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চীনে ১৩০০০ ‘সন্ত্রাসী’ আটক

চীন
জিনজিয়াং একটি মসজিদে নামাজ পড়ছেন মুসল্লিরা - ছবি : আলজাজিরা

চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে ২০১৪ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার ‘সন্ত্রাসী’ আটক হয়েছে। সোমবার এ কথা জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

বিতর্কিত ‘মৌলবাদবিরোধী’ অভিযানের পক্ষ নিয়ে এ ঘোষণা দেয়া হলো।

বন্দিশিবির নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রবল চাপের মুখে রয়েছে চীন। এসব শিবিরে ১০ লাখের মতো উইঘুর ও অন্য মুসলমান জনগোষ্ঠী আটক রয়েছে।

অবশ্য চীন এসব কেন্দ্রকে বন্দিশিবির বলছে না, বলা হচ্ছে ‘কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’।

চীন বলছে উগ্রবাদের বিস্তার প্রতিরোধে এসব কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। আটককৃতদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ পথ থেকে ফেরানোই উদ্দেশ্য।

একটি শ্বেতপত্রে সরকার বলেছে, কর্তৃপক্ষ নম্রতা ও কঠোর সমন্বয়ে একটি নীতি গ্রহণ করেছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, ‘২০১৪ সাল থেকে জিনজিয়াংয়ে ১ হাজার ৫৮৮টি সহিংতা ও সন্ত্রাসী গ্যাং ধ্বংস করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ১২ হাজার ৯৯৫ সন্ত্রাসীকে। ২ হাজার ৫২টি ধ্বংসাত্মক ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ৪ হাজার ৮৫৮টি অবৈধ ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের দায়ে ৩০ হাজার ৬৪৫ জন লোককে দণ্ড দেয়া হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ২২৯ কপি অবৈধ ধর্মীয় উপকরণ।’ সূত্র : আলজাজিরা

আরো পড়ুন :
চীনের উইঘুর মুসলিম বন্দিশিবির বন্ধের আহ্বান তুরস্কের
আলজাজিরা ও বিবিসি, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
চীনের মুসলিম বন্দিশিবিরগুলোতে ১০ লক্ষাধিক উইঘুর মুসলিমকে আটকে রাখার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এগুলো বন্ধের জন্য বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। আবদুর রহিম হায়াত নামে উইঘুর জনগোষ্ঠীর প্রখ্যাত এক সঙ্গীত শিল্পীর মৃত্যুর খবর প্রকাশের পর এ আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক।

শনিবার তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উইঘুরদের বন্দিশিবির হিসেবে ব্যবহৃত চীনের এসব বন্দিশিবির মানবতার জন্য ভয়াবহ লজ্জাজনক। উইঘুর কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে আট বছরের সাজা ভোগ করছিলেন আবদুর রহিম হায়াত নামের ওই প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী। তার মৃত্যুর পর শনিবার তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামি আকসয় বলেন, চীনের ‘কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে’ ১০ লাখেরও বেশি উইঘুরকে আটকে রাখার বিষয়টি এখন আর গোপন কিছু নয়। এসব নিপীড়ন কেন্দ্রে নির্যাতনের মাধ্যমে বন্দীদের মগজধোলাই করা হয়। মানবতার প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে এসব বন্দিশিবির বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে তুরস্ক। নিপীড়ন কেন্দ্র ও কারাগারগুলোতে তাদের নির্যাতন, রাজনৈতিক মগজধোলাইয়ের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে।

হেয়িত একজন প্রখ্যাত দোতারা বাদক ছিলেন। এক সময় পুরো চীনের শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন এই শিল্পী। তিনি বেইজিংয়ে মিউজিক নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন এবং জাতীয় শিল্পী দলগুলোর সাথে দোতারা বাজাতেন। ‘বাবা’ শিরোনামের একটি গান গাওয়ার জন্য তাকে আটক করা হয় বলে জানা গেছে। একটি উইঘুর কবিতা থেকে গানটির কথাগুলো নেয়া হয়েছিল। ওই কবিতায় উইঘুর তরুণ প্রজন্মকে তাদের পূর্ববর্তীদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান ছিল।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল