২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে নতুন উত্তেজনা

-

দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন সমরসজ্জার পর এ অঞ্চলে প্রায় ১০০ জাহাজ মোতায়েন করেছে বেইজিং। এসব জাহাজ থিটু দ্বীপের দিকে পাঠানো হয়েছে বলে ওয়াশিংটনভিত্তিক কৌশলগত ও আন্তর্জাতিক বিষয়ের একটি গবেষণাকেন্দ্র এ খবর দিয়েছে। থিটু দ্বীপ ফিলিপাইনের দখলে থাকা একটি দ্বীপপুঞ্জের অংশ যা নিয়ে চীন, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও দক্ষিণ চীন সাগরে তার সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে।

চীনের এই নৌবহরে যুদ্ধজাহাজ ছাড়াও রয়েছে উপকূলীরক্ষী এবং কয়েক ডজন মাছ ধরার ট্রলার। চীন এ অঞ্চলে ফিলিপাইন সরকারের নির্মাণ তৎপরতা বন্ধ করতেই এসব পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ওই সূত্রটি উল্লেখ করেছে। ফিলিপাইন ২০১৭ সাল থেকে এই দ্বীপে একটি বিমান ঘাঁটি নির্মাণের চেষ্টা করছে। গত বছর এই ঘাঁটি নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে পুরোপুরি নির্মাণ করা এখনো সম্ভব হয়নি।

বেইজিং দক্ষিণ চীন সাগরের বেশির ভাগ অঞ্চলের মালিকানার দাবি করছে। সম্পদসমৃদ্ধ এ অঞ্চলের মালিকানার দাবি করছে ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনামও। মার্কিন সরকার এই দ্বন্দ্বে চীনের কোনো কোনো প্রতিবেশী দেশকে সমর্থন দিচ্ছে। দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল থেকে বছরে আয় হয় পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার।

আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় নৌযান চলাচলের স্বাধীনতা রক্ষার অজুহাত দেখিয়ে আমেরিকা দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছ। চীন এ অঞ্চলে মার্কিন নৌ ও বিমানবাহিনীর সাথে বেইজিংয়ের সঙ্ঘাত বেঁধে যেতে পারে বলে ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

শব্দের পাঁচ গুণ গতির ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানায়, মার্কিন বিমান বাহিনীর মন্ত্রী হিথার উইলসন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাছাকাছি পর্যায়ে রয়েছে। এ অস্ত্রের গতি শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি হবে বলেও জানান তিনি। রাশিয়া ইতোমধ্যেই শব্দের চেয়ে চারগুণ বেশি গতির হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়েছে।

ওয়াশিংটনের থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে দেয়া বক্তৃতায় এ কথা জানান হিথার উইলসন। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশ নতুন এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাচ্ছে এবং তাদের সাথে পাল্লা দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এটি তৈরি করছে। এ কথার মধ্য দিয়ে পরোক্ষভাবে চীন- রাশিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন তিনি। এ ছাড়া, বর্তমানে মহাকাশে আমেরিকার ৮০টি উপগ্রহ আছে বলেও জানান হিথার উইলসন।

এর আগে আইএনএফ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে বের হয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে ওয়াশিংটন ঘোষণা দিয়েছে। এরপরই প্রকাশিত সংবাদে বলা হয় যে, রাশিয়া হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তৈরির তৎপরতা চালাচ্ছে। এর আগে চীনকে নিয়েও এমন খবর প্রচারিত হয়েছে। এ দিকে, এসব সংবাদ প্রকাশের পরই মার্কিন বিমান বাহিনীর বক্তব্য প্রকাশিত হলো।


আরো সংবাদ



premium cement