তালেবান এখন আফগানিস্তানের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ। আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার অংশগ্রহণের প্রেক্ষাপটে তালেবানকে ‘রাজনৈতিক দল’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে চীন। ইসলামাবাদে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত পাকিস্তানকে এ কথা বলেছেন। পাকিস্তানের গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
ইসলামাবাদে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও জিং আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পেশোয়ারে এক সমাবেশে দেয়া ইয়াও জিংয়ের বক্তৃতা উদ্ধৃত করে ডন জানিয়েছে, ‘চীন তালেবানকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বেছে নেবে কারণ তারা এখন আফগান রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ এবং তাদের কিছু রাজনৈতিক চিন্তাও রয়েছে।’
তিনি তার দেশ আফগান সরকার ও তালেবানদের সাথে যোগাযোগ করছে এবং তার বিশেষ দূত দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন। ইয়াও জিং বলেন, ‘আফগানিস্তানে শান্তির জন্য গৃহীত সব প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে চীন কারণ আফগান জনগণের শান্তি ও স্থিতিশীলতা দরকার’।
চার দেশ সফরের অংশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় শান্তি আলোচনাকারী জালমে খালিলজাদ ১৪ জানুয়ারি বেইজিং সফর করেন এবং চীনা কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেন। চীনা কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি টুইট করেন, ‘ আফগান শান্তি প্রক্রিয়াকে সফল করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সিনিয়র চীনা কর্মকর্তাদের সাথে তার ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। সব আফগানের জন্য শান্তিপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া এবং আফগানিস্তান যাতে পুনরায় সন্ত্রাসবাদের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহারিত না হয় তা নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক সহায়তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’ ইয়াও বলেন, আফগানরা চীনের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন। আফগানিস্তানের সাথে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের ব্যাপারে মধ্যএশীয় দেশগুলোর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। চীনা দূত বলেন, আমরা আফগানিস্তানের জটিলসঙ্ঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী। এ জন্য অনেক সহনশীলতার দরকার। আফগানিস্তানে নির্বাচন হতে যাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র দেশটি থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা