২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও ছোট অর্থনীতির দেশগুলোকে তাদের পণ্য সুরক্ষার সুযোগ দিতে হবে : মাহাথির

অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও ছোট অর্থনীতির দেশগুলোকে তাদের পণ্য সুরক্ষার সুযোগ দিতে হবে : মাহাথির - সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, বিভিন্ন দেশের উন্নয়নের দিকে খেয়াল রেখেই চুক্তি করা উচিত। অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও ছোট অর্থনীতির দেশগুলোকে তাদের পণ্য সুরক্ষার সুযোগ দিতে হবে। আমাদের টিপিপি নিয়ে আবার পর্যালোচনা করতে হবে।

মাহাথির বলেন, ট্রান্স-পাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) চুক্তি নিয়ে আবার পর্যালোচনা করতে হবে। এমন চুক্তিতে মালয়েশিয়ার মতো ছোট দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় বসেই এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেন। অন্য দেশগুলো চুক্তি বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল। 

মাহাথিরের এমন মন্তব্যে চুক্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও মাহাথির এই চুক্তির প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব উড়িয়ে দেননি, কিংবা এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ারও কোনো পরিবকল্পনার কথা জানাননি। বিশ্বের ৪০ শতাংশ অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করা ১২টি দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এ চুক্তির লক্ষ্য ছিল এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর আন্তঃবাণিজ্যিক সব বাধা দূর করার পাশাপাশি সহজভাবে তথ্য-প্রযুক্তির নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ নিশ্চিত করা।

চলতি বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রকে এ চুক্তি থেকে বের করে নেন। এরপর মাহাথিরের এই আহ্বান চুক্তিটির আরো বড় ধাক্কা হয়ে আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এর নাম দেয়া হয়েছে দ্য কমপ্রিহেনসিভ অ্যান্ড প্রগ্রেসিভ অ্যাগ্রিমেন্ট ফর ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (সিপিটিপিপি)।  বিশ্বের মোট ১৩ শতাংশ অর্থনীতি এই চুক্তির আওতায় থাকা দেশগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। যুক্তরাষ্ট্র থাকলে এই পরিমাণ হতো ৪০ শতাংশ। 

জনগণের কাছ থেকে চাঁদা তুলে বৈদেশিক ঋণ শোধ করছে মাহাথির!

চাঁদা তুলে মালয়েশিয়ার ঋণ শোধ করছে সেখানকার জনগণ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের ডাকে সাড়া দিয়ে এ কাজে শামিল হলেন তারা। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ২০ লাখ ডলার গণতহবিল গঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৈদেশিক ঋণ শোধে ২৭ বছর বয়সী এক মালয়েশীয় দেশপ্রেমিক নাগরিকের হাত ধরে মালয়েশিয়া সরকারের এ উদ্যোগ শুরু হয়। প্রথমে ব্যক্তিগত উদ্যোগে তহবিল গঠন শুরু করেন সেই ব্যক্তি।

এরপরই দেশটির অর্থমন্ত্রী লিম গুয়ান ইং বলেন, মালয়েশিয়ার বৈদেশিক ঋণের বোঝা কমাতে দেশের নাগরিকেরা তাদের আয় থেকে অর্থ দিতে চায়। এরপর গণতহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তিনি।

১ ট্রিলিয়ন রিঙ্গিতেরও বেশি ঋণ রয়েছে মালয়েশিয়ার। দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পর গত ২১ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথমবার আলোচনায় এ তথ্য জানান মাহাথির মোহাম্মদ।

দেশের এ অবস্থার জন্য দুর্নীতি মামলায় তদন্তাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের নেতৃত্বে থাকা প্রশাসনকে দায়ি করেছেন তিনি। যাইহোক, বৈদেশিক ঋণ শোধে মালয়েশিয়ার এ ‘গণতহবিল মডেল’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে।

মাহাথির মোহাম্মদ আসলেই অনন্য, আসলেই অসাধারণ। ড. মাহাথির বিন মোহাম্মদ ৯২ বছর বয়সেও ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সরকারি দায়িত্ব নিয়ে। এতে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ঘুম না হওয়ায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন বলে উদ্বিগ্ন তার স্ত্রী ড. সিতি হাসমাহ।

ড. সিতি ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, মাহাথির যখন ঘুমাতে যাওয়ার কথা সে সময়ও তিনি সরকারি ডকুমেন্ট নিয়ে বসে থাকছেন। এক রাতে তাকে আমি ভোর ৪/৫টা পর্যন্ত এমন ডকুমেন্ট যাচাই করতে দেখেছি। তিনি ওই রাতে ২০০ ডকুমেন্ট যাচাই করেছেন। আবার সকাল ৭টায় তিনি অফিসে গিয়ে হাজির। এ জন্য তার স্বাস্থ্য নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।

কর্মব্যস্ত থাকতে পারেন বলেই মাহাথির অনন্য। কাজে ডুবে থাকেন বলে তার স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে স্বজনেরা দুশ্চিন্তা করেন। টাইম ম্যাগাজিন একবার তার অফিসে আসার সময় রেকর্ড করেছিল। পরপর পাঁচ দিন তার অফিসে প্রবেশের সময় ছিল সকাল ৭:৫৭, ৭:৫৬, ৭:৫৭, ৭:৫৯, ৭:৫৭। কর্মব্যস্ত মাহাথিরের জীবনের স‍ার্থকতা তিনি দেশ ও জাতিকে কিছু দিতে পেরেছেন;  অর্থবহ কাজে ব্যস্ত থেকে সময়কে কাজে লাগাতে পেরেই তিনি সুখী।

মাহাথির বলেছেন- আমাদের ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করতে হবে। পেছনের আবর্জনা ঘাঁটার সময় আমাদের হাতে নেই। আমি কোনো প্রতিশোধ নিতে চাই না। জনগণকে নির্যাতন করার জন্য তৈরি করা কোনো আইন রাখা হবে না। আমরা সংবিধান সমুন্নত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। আইনের শাসনমতে দেশ চালাতে চাই।

তিনি আরো বলেছেন- খান কম, অনুশীলন করুন বেশি, বই পড়ুন বেশি। প্রত্যেকের নিজ পরিবার একটি নিরাপদ জায়গা - যা আমাদের এই জটিল সমাজে স্থিরতা আনে। সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা হলে ধর্ম কখনো অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য বাধা হতে পারে না। চিকিৎসা বিদ্যায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকের জন্য রাজনীতি একটি ভালো পেশা। একজন ডাক্তার রোগীকে পর্যবেক্ষণ করেন, স্বাস্থ্যগত ইতিহাস রেকর্ড করেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন, ল্যাব পরীক্ষা করেন এবং চূড়ান্তভাবে রোগ নির্ণয় করেন। এ প্রক্রিয়াটি রাজনীতির মতই।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু দোয়ারাবাজারে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা : স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার ভারতে দ্বিতীয় পর্বে ৮৮ আসনে ভোট

সকল