৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বিমানবাহী জাহাজে চীনের মহড়া, বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন জে-২০ ফাইটার জেট

বিমানবাহী জাহাজে চীন মহড়া, বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন জে-২০ ফাইটার জেট - সংগৃহীত

চীনের প্রথম বিমানবাহী জাহাজ লিয়াওনিংয়ে রাতের বেলায় বিমান অবতরণ ও উড্ডয়নের মহড়া চালিয়েছে দেশটির বিমানবাহিনী। এ ঘটনাকে চীনের সামরিক শক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিরাট বড় পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছে চীনা গণমাধ্যম ও চীনের সরকার নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন।

প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে, পিপল’স লিবারেশন আর্মির কয়েকটি বিমান লিয়াওনিং জাহাজের ওপর অবতরণ করছে এবং সেখান থেকে উড়ে যাচ্ছে।

সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতের বেলায় যুদ্ধজাহাজে বিমান অবতরণ ও উড্ডয়নের ক্ষেত্রে পাইলটদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ থাকে। রাতের বেলায় সিগনাল বাতি আলাদা করা এবং পাইলটদের পক্ষে জাহাজ থেকে বিমান ওড়ানোর সক্ষমতা বুঝতে পারা কঠিন কাজ।

৬০ হাজার টন ওজনের লিয়াওনিং জাহাজটি ঘণ্টায় ৩৭ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে এবং একসঙ্গে ৩৬টি বিমান বহন করতে পারে। এটি হচ্ছে চীনের একমাত্র বিমানবাহী জাহাজ। এর আগে গত এপ্রিল মাসে চীন আরো একটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ যুক্ত করেছে তবে সেটিকে পরিপূর্ণভাবে কর্মক্ষম করে তুলতে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

চীনের জে-২০ ফাইটার জেটের লুকিয়ে থাকার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে চীন। যদিও ভারতে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের রাডারে চীনের ওই বিমান ধরা পড়েছে।

দক্ষিণ চীন সাগরে ফের বোমারু বিমান মোতায়েন বেইজিংয়ের

বিতর্ক উস্কে দিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত দ্বীপে সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে ফের যুদ্ধবিমান মোতায়েন করল বেজিং। চীনের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, পিপলস লিবারেশন আর্মি এইচ-৬কে এর কয়েকটি যুদ্ধবিমান মহড়ার জন্য দ্বীপে অবতরণ করেছে। এতে এই অঞ্চলে আমাদের শক্তির উন্নয়ন ঘটবে এবং যেকোনো সময় হামলা ও প্রতিহত করতে সক্ষম হব আমরা।

সাগরের এই পানিসীমার মালিকানা নিয়ে কয়েকটি দেশের মধ্যে বিরোধ চলছে। অনেক দিন ধরেই এই অঞ্চলে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি এবং সামরিক কাঠামো নির্মাণ করে আসছে চীন। অন্যদিকে এই অঞ্চলে ‘সামরিকীকরণ’ নিয়ে আমেরিকা ও চীন দীর্ঘ দিন ধরেই পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে। দক্ষিণ চীন সাগরের ওই অঞ্চল নিজেদের দাবি করে বেইজিং। আর আমেরিকার দাবি সেটি আন্তর্জাতিক সীমারেখার অন্তর্ভূক্ত। চীন জানায়, এইচ-৬কে’র পাইলটরা সেখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। পশ্চিম প্রশান্ত সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরের লড়াইয়ের কারণেই এই প্রশিক্ষণ। তবে মহড়া ঠিক কোথায় হচ্ছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। পেন্টাগনের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল ক্রিস্টোফার লোগান বলেন, আমেরিকা উন্মুক্ত ও স্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিক সাগর রক্ষায় বিশ্বাসী। আমরা চীনের সামরিকীকরণের খবর পেয়েছি। এতে শুধু উত্তেজনাই বৃদ্ধি পাবে।

এদিকে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় তেল প্রতিষ্ঠান রোজনেফট তেল অনুসন্ধান শুরু করায় চীন ক্ষুব্ধ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ওই কোম্পানির ভিয়েতনাম শাখা। রোজনফট জানায়, রাশিয়ার প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ চীন সাগরে গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান শুরু করেছে। অনুসন্ধানের স্থানটি ভিয়েতনাম থেকে ২৩০ মাইল দক্ষিণ-পূর্বদিকে অবস্থিত। জ্বালানি পরামর্শক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান উড ম্যাকেঞ্জি জানায়, অনুসন্ধান ক্ষেত্রটি চীনের ‘নাইন-ড্যাশ লাইনের’ মধ্যে পড়েছে। ইংরেজি অক্ষর ‘ইউ’ আকৃতির ‘নাইন ড্যাশ-লাইন’ দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের বিস্তৃতি ভিয়েতনামের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের কিছু এলাকাও পড়েছে। চীন ওই এলাকার মালিকানা দাবি করেছে। গত কয়েক বছরে অঞ্চলটিতে টহল দিচ্ছে চীনের নৌবাহিনী।

একটি সূত্র জানায়, মার্চ মাসে চীনের চাপে ‘রেড এম্পেরর’ এলাকায় তেল অনুসন্ধান প্রকল্প বাতিল করে ভিয়েতনাম। ওই ক্ষেত্রটি স্পেনের কোম্পানি রেপসল লিজ নিয়েছিল। তখন প্রকল্প বাতিল করায় রেপসল ক্ষতিপূরণ চায় ভিয়েতনামের কাছে। চীনের পক্ষ থেকে চাপের আশঙ্কায় রোসনেফট ভিয়েতনাম অনেকটা গোপনেই অনুসন্ধান শুরু করতে চায়।

এআই প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দিতে চায় চীন

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দিতে কাজ করছে চীন। এ লক্ষ্যে দেশটির সরকার ন্যাশনাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান ঘোষণা করেছে। এবার স্থানীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি শিল্পকে সমর্থন দিতে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় পোর্ট সিটি তিয়ানজিন ১৬০০ কোটি ডলারের তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে।

আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় শীর্ষস্থানে পৌঁছতে চায় চীন। এআই প্রযুক্তিকে চীনা শিল্পখাতের ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রার জন্য ভিত্তি হিসেবে দেখছে দেশটি। এ ছাড়া এআই প্রযুক্তি খাতে যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিতে বিনিয়োগ সহায়তা বাড়াচ্ছে চীন সরকার।

বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ সত্ত্বেও এআই প্রযুক্তিভিত্তিক সামরিক অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তিয়ানজিন শহর কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিত এআই তহবিলের অর্থ ইন্টেলিজেন্ট রোবট, হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার উন্নয়নে কাজ করছে এমন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement