২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্রিজে আটকা কয়েক হাজার শরণার্থী

ব্রিজের ওপর আটকে পড়া অভিবাসীরা - ছবি : এএফপি

দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখী কয়েক হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী আটকা পড়েছে গুয়াতেমালা-মেক্সিকো সীমান্তে। শনিবার থেকে সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে একটি ব্রিজের ওপর খোলা আকাশের নিচে রাত-দিন পার করছে তারা।

সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মেক্সিকোতে প্রবেশ করতে চেষ্টা করলে নো ম্যানস ল্যান্ড এলাকায় মেক্সিকোর পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয় তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত তারা মেক্সিকোয় প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে ব্রিজটিতেই থাকতে হচ্ছে তাদের।

ব্রিজটি গুয়াতেমালার টেকুন উমান ও মেক্সিকোর টাপাকুলার মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত নদীর ওপর নির্মিত। এই অভিবাসন প্রত্যাশীদের অধিকাংশই হন্ডুরাস থেকে আসা। দেশটিতে বিরাজমান সংঘাতময় পরিস্থিতি ও দরিদ্র অবস্থা থেকে বাঁচতে তারা যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখে রওনা হয়েছিল।

সুচিয়াতি নদীর ওপর সেতুটিতে থাকা কাঁটাতারের অস্থায়ী বেড়া ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন অভিবাসীরা। এসময় অনেকে পুলিশের ওপর পাথর ছুড়ে মারে। পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।
অভিবাসীরা বলেছেন, আইনি প্রক্রিয়া খুব ধীর গতির হওয়ায় তারা বেআইনিভাবে মেক্সিকোয় প্রবেশের চেষ্টা করছেন।

সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিক ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে না দেয়ায় শরণার্থীরা ভিন্ন উপায় বের করেন। সীমান্ত রেখে নদী পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশেরও চেষ্টা করতে দেখা গেছে অনেককে।

ব্রিজের ওপর থেকে সুকিয়াতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভেলায় ওঠার চেষ্টা করছে শরণার্থীরা। উপায় না পেয়ে অনেকে আবার গুয়াতেমালাতেই ফিরে গেছে।

আরো পড়ুন: ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬১
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় পাঞ্জাব রাজ্যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৬১ জন নিহত ও ৭০ জনের বেশী আহত হয়েছে। রেললাইনের ওপরে দাঁড়িয়ে হিন্দু ধর্মের দশেরা উৎসব দেখার সময় একটি ট্রেন জনতার ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়লে তারা হতাহত হয়। এতে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। শনিবার কর্মকর্তারা একথা জানান।

পাঞ্জাব নগরীর অমৃতসরের জোড়া ফটকে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। অমৃতসরে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা রাজেশ শর্মা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এতে আহত অপর ৭২ জনকে এখানে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্মকর্তারা জানান, হিন্দু ধর্মের দশেরা উৎসব পালন দেখতে আসা শত শত লোকের ওপর একটি ট্রেন উঠে গেলে এসব লোক হতাহত হয়। স্থানীয় সরকার এ ঘটনাকে মর্মান্তিক হিসেবে বর্ণনা করে এ দুর্ঘটনার ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, রাজ্য এ ঘটনায় শনিবার শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সকল অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই কর্তৃপক্ষ দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল পাঠায়।

বিক্ষুব্ধ জনতা এসব লোকের মৃত্যুর জন্য স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের দায়ী করে। এদিকে স্থানীয় সরকার নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৬ হাজার ৮০৭ মার্কিন ডলার সাহায্য দেয়ার এবং হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, জনতার ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়া ওই ট্রেন জালন্ধর থেকে অমৃতসর নগরীতে যাচ্ছিল।


আরো সংবাদ



premium cement