২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বুড়িগঙ্গা ও তুরাগপাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চলবেই

-

বুড়িগঙ্গা ও তুরাগতীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয়পর্যায়ের উচ্ছেদ অভিযান গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। শেষ দিনে ঢাকার সাভার, গাবতলী ও আমিনবাজারের বিভিন্ন এলাকায় তুরাগের উভয়পাড়ের ৫৫টি ছোট বড় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ।
মোহাম্মদপুরের বছিলায় তুরাগ নদ ভরাট করে ফেলা চ্যানেলকে আগামী দুই মাসের মধ্যেই আগের রূপে ফেরানোর আশা করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ। আমিন-মোমিন হাউজিং নামের একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান চ্যানেলটি অবৈধভাবে ভরাট করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করেছিল। সম্প্রতি চ্যানেলটি দখলমুক্ত করে সেখানে খননকাজ শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগতীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ। অভিযানে ইতোমধ্যে ছয়টি আবাসন প্রতিষ্ঠানের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। এসব আবাসন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমিন-মোমিন হাউজিং তুরাগের একটি চ্যানেল ভরাট করে সেখানে প্লট বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছিল। অভিযানে চ্যানেলটি দখলমুক্ত করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএ জানায়, তুরাগতীর থেকে দৈর্ঘ্যে প্রায় দুই হাজার ৮০০ মিটার আর প্রস্থে প্রায় ২৫০ মিটার দখল করেছিল আমিন-মোমিন হাউজিং। চ্যানেলটি উদ্ধারের পর তা সচল করতে প্রায় আট লাখ ঘনমিটার মাটি উত্তোলন করতে হবে। ৬ মার্চ থেকে খননকাজ শুরুর পর ইতোমধ্যে ২০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এই কাজ দ্রুত শেষ করতে বিআইডব্লিউটিএ’র একমাত্র উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ২৬ ইঞ্চি কাটার সেকশন ড্রেজার নিয়ে আসা হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে পুরো চ্যানেলটি আগের রূপে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
গত শুক্রবার দেখা গেছে, সেখানে সাতটি এক্সকাভেটর ও তিনটি ড্রেজার মাটি খননের কাজ করছে। গত ১০ দিনেই সেখানকার চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে। খননকাজ শেষে মাটির স্তূপ করে রাখা হয়েছে। খননের কারণে চ্যানেলের আকৃতি ফুটে উঠছে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাভার থানার বড় বরদেশী মৌজা, গাবতলী ও আমিনবাজার এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২০টি পাকা সীমানাপ্রাচীর, ১৫টি বাঁশের জেটি ও ২০টি টিনের ঘর মিলিয়ে মোট ৫৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ ছাড়া আমিনবাজারে অবৈধভাবে গড়ে তোলা একটি কয়লার স্তূপ তাৎক্ষণিক নিলামে তোলা হয়। ৩০ লাখ টাকায় ওই কয়লা বিক্রি করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
উচ্ছেদ অভিযানের তত্ত্বাবধানে থাকা বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ তীরের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। দ্বিতীয় পর্বের অভিযান শেষে প্রয়োজনে সময়সীমা আরো বাড়ানো হতে পারে।
উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় পর্বের তৃতীয়পর্যায় শুরু হবে ১৯ মার্চ। ওই দিন সকাল ৯টা থেকে গাবতলী-আমিনবাজারের তুরাগ থেকে উজান দিকে উচ্ছেদ কার্যক্রম চলবে।
এরপর চতুর্থ ও শেষপর্যায়ের অভিযান চলবে ২৫, ২৭ ও ২৮ মার্চ। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম পর্বের অভিযান চালানো হয়। ৫ মার্চ থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্বের উচ্ছেদ অভিযান। এখন পর্যন্ত ১৮ দিনের অভিযানে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগপাড় থেকে দুই হাজার ২৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযানে অবমুক্ত করা জায়গার পরিমাণ প্রায় ৫২ একর। এ ছাড়া জব্দ করা সম্পদ নিলামে বিক্রির মাধ্যমে আয় হয়েছে ৩১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। হ


আরো সংবাদ



premium cement