পঞ্চগড়ে রিক্তার মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন শিরোনামে (২২ অক্টোবর) নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশের ১৫ দিন পর ঠাকুরগাঁও সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। রিক্তার বাবা সাইদুর রহমান আবু বাদি হয়ে চারজন আসামির নাম উল্লেখ করে গত শুক্রবার হত্যা মামলা করলে পুলিশ রিক্তার স্বামী মখলেছার মাস্টারকে রাতেই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
জানা যায়, পঞ্চগড় জেলার ডোকরোপাড়া মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান আবু ও পঞ্চগড় সদরের ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামীমা আক্তারের বড় মেয়ে রিক্তা। প্রায় ১৮ বছর আগে রিক্তার সাথে পারিবারিকভাবে মখলেছারের বিয়ে হয়। স্থানীয়দের অভিমত, স্বামীর অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল রিক্তার জীবন। প্রতিবেশীরা জানান, কয়েক দিন আগে ১০ কেজি শুকনা মরিচ বিক্রি করে রিক্তা তার ছেলেমেয়ের জন্য জামাকাপড় কিনেছিল।
বিষয়টি জানতে পেরে মখলেছার রিক্তাকে বেদম মারধর করে। তারা আরো জানান, মখলেছার মাস্টার এলাকায় সুদখোর মহাজন নামেই বেশি পরিচিত। রংপুরে চিকিৎসারত অবস্থায় রিক্তার মৃত্যু হয়। রিক্তার বোনের স্বামী মকলেছুর জানান, বিয়ের পর থেকেই রিক্তার ওপর চলত অমানবিক নির্যাতন।
রিক্তার মা-বাবার দাবি রিক্তাকে শারীরিক নির্যাতন করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে পরিকল্পিত হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে মখলেছার মাস্টার। রাধানগর ইউনিয়নের সমাজসেবক জহিরুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, স্থানীয় প্রতিনিধির সাহসী লেখনীর কারণে অবশেষে রিক্তার মৃত্যুরহস্য উন্মোচন হতে যাচ্ছে। ওই এলাকার সব শ্রেণীর মানুষ মখলেছার মাস্টারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।