যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছেন, আশরাফ গনির সাথে তাদের বর্তমানে কোনো যোগাযোগ নেই। বৃহস্পতিবার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান তিনি।
নেড প্রাইস বলেন. ‘দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট গনির সাথে আমাদের কোনো যোগাযোগ হয়নি।’
বর্তমানে তালেবানসহ আফগানিস্তানের ভবিষ্যত অংশীদারদের সাথে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের জেরে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রোববার কাবুল ঘিরে ফেলে তালেবান যোদ্ধারা। তালেবানের নিয়ন্ত্রণে কাবুল যাওয়ার অল্প কিছু সময় আগেই বিমানে করে আফগানিস্তান ত্যাগ করেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। প্রথমে তাজিকিস্তানে যাওয়ার কথা শোনা গেলেও শেষে ওমান হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মানবিক আশ্রয় গ্রহণ করেন গনি।
২০০১ সালে তালেবান সরকারকে উৎখাত করে আফগানিস্তান মার্কিন বাহিনী দখল করলে ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আফগানিস্তানের আসেন আশরাফ গনি। বিশ্বব্যাংকের সাবেক এই কর্মকর্তা আফগানিস্তানের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পর ২০১৪ সালে এক নির্বাচনের পর আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে ২০১৯ সালে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে আফগান প্রেসিডেন্টের পদে দ্বিতীয় দফার মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
গত বছর কাতারের দোহায় স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী মে থেকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হলে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে তালেবানে।
মার্কিনিদের সাথে চুক্তি অনুসারে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারের সাথে তালেবানের সমঝোতায় আসার কথা থাকলে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। সমঝোতায় না পৌঁছানোর জেরে তালেবান আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে অভিযান শুরু করে।
৬ আগস্ট প্রথম প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলীয় নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী যারানজ দখল করে তারা। যারানজ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার ১০ দিনের মাথায় রোববার কেন্দ্রীয় রাজধানী কাবুল দখল করে তালেবান যোদ্ধারা।
সূত্র : আলজাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা