০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আশ্রয় প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা অবৈধ: ব্রিটেনের আপিল আদালতের রায়

আশ্রয় প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা অবৈধ: ব্রিটেনের আপিল আদালতের রায়। - ছবি : সংগ্রহীত

ব্রিটেনের একটি আদালত বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) রায় দিয়েছে যে সরকার আশ্রয় প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় কেবল মাত্র ফেরত যাওয়ার ব্যবস্থা করে যে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে তা অবৈধ।
আদালতের ওই রায়ে রক্ষণশীল প্রশাসন যে ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে আশ্রয় প্রার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করার অঙ্গীকার করেছে তাকে দু’এক রায়ে বিভক্ত আপিল আদালতের তিন বিচারক বলেন, রুয়ান্ডাকে ‘নিরাপদ তৃতীয় দেশ’ হিসেবে এমন বিবেচনা করা চলে না যেখানে অভিবাসীদের পাঠানো যেতে পারে ।

তবে বিচারকেরা বলেন, আশ্রয় প্রার্থীদের অন্য দেশে ফেরত পাঠানোর নীতি অবশ্যই অবৈধ নয়। সরকার এই রায়কে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করতে পারে।
আপিল করার জন্য ৬ জুলাই পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক অভিবাসন প্রার্থীদের ‘নৌকাগুলোকে আসা বন্ধ করার’ অঙ্গীকার করেছেন। ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চল থেকে ব্রিটেনে বসবাসের আশায় আসা অভিবাসী বহনকারী ডিঙ্গি এবং অন্য ছোট জাহাজের কথা তিনি উল্লেখ করেন। ২০২২ সালে ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষ ব্রিটেনে প্রবেশ করেছিল এবং ওই সময় সেই প্রচেষ্টায় বেশ কয়েকজন প্রাণ হারায়।

এক বছরেরও বেশি সময় আগে ব্রিটেন এবং রুয়ান্ডার সরকার একমত হয় যেসব অভিবাসী পালিয়ে বা ছোট নৌকায় যুক্তরাজ্যে আসবে তাদেরকে রুয়ান্ডায় ফেরত পাঠানো হবে এবং
সেখানে তাদের আশ্রয়ের দাবির প্রক্রিয়ার কাজগুলো করা হবে। যারা আশ্রয় পেয়ে যাবেন তারা ব্রিটেনে ফিরে না গিয়ে পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে থাকবেন।

ব্রিটিশ সরকার যুক্তি দেখায় যে এই নীতি গ্রহণের ফলে অপরাধী চক্রগুলো যে বিপজ্জনকভাবে অভিবাসীদের নিয়ে আসার জন্য (ইংলিশ চ্যানেলে) একটি ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করে নিয়েছিল তা ভেঙে দেয়া আর ওটাই হচ্ছে বিশ্বের ব্যস্ততম জাহাজ চলাচলের পথ।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, অভিবাসন প্রার্থীদের এমন একটি দেশে পাঠানো অনৈতিক ও অমানবিক যেখানে তারা বসবাস করতে চায় না। বিশেষত ছয় হাজার চার শ’ কিলোমিটার দূরত্বের দেশটিতে।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো যুক্তি দেখিয়েছে যে বেশিরভাগ চ্যানেল দিয়ে আসা অভিবাসীরা এক রকম মরিয়া মানুষ যাদের ব্রিটেনে আসার কোনো বৈধ উপায় নেই। তারা রুয়ান্ডার দুর্বল মানবাধিকার রেকর্ডের কথাও উল্লেখ করেন, যার মধ্যে রয়েছে সরকার বিরোধী লোকজনের উপর নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ।
চুক্তিটির আওতায় ব্রিটেন ইতোমধ্যে রুয়ান্ডাকে ১৭ কোটি ডলার প্রদান করেছে কিন্তু এখনো কাউকে সেখানে ফেরত পাঠানো হয়নি।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement