২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তুরস্কে শোচনীয় অবস্থা কৃষকদের

তুরস্কে শোচনীয় অবস্থা কৃষকদের - সংগৃহীত

দীর্ঘ দিন ধরে চলমান মুদ্রাস্ফীতি ও অপর্যাপ্ত রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় তুরস্কের কৃষকদের অবস্থা বেশ শোচনীয়। রাষ্ট্রীয় সহযোগিতার অভাবে টিকে থাকতে বেশিভাগ কৃষক ঋণ করতে বাধ্য হচ্ছে।

সম্প্রতি তুর্কির প্রতিবেশী ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে কৃষকেরা রাস্তায় নেমে ট্র্যাক্টর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে প্রতিবাদ করেছে। তুরস্কের কৃষকেরা এখনো রাস্তায় না নামলেও রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি নিয়ে তারা বেশ অসন্তুষ্ট। তুর্কির কৃষি খাতের প্রতিনিধিরা বলছেন, পোল্যান্ড, জার্মানি ও অন্যান্য দেশের তুলনায় তারা অনেক খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।

তুরস্কের চেম্বার অফ অ্যাগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ার্সের সভাপতি বাকি রেমজি সুইচমেজ বলেন, ‘ইউরোপে কৃষকদের বিক্ষোভের অন্যতম কারণ ছিল ডিজেলের জন্য ভর্তুকি কমানো। কিন্তু তুরস্কে ডিজেলের জন্য আলাদা কোনো কর সুবিধাই নেই।’

সুইচমেজ আরো বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে এখন প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে। এ মুহূর্তে শুধু আর্থিক সহায়তাই কৃষকদের জন্য যথেষ্ট নয়।’

বাজেট ও তুর্কি মুদ্রা সঙ্কট
চলমান সঙ্কট দূর করতে কৃষকদের সহায়তার জন্য তুর্কি কৃষি মন্ত্রণালয় ২০২৪ সালে তাদের বাজেট ৪৪ দশমিক পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে।

তুরস্কের চেম্বার অফ অ্যাগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ার্সের তথ্য অনুসারে, তুরস্কে কৃষি পণ্য সরবরাহের খরচও দিন দিন বাড়ছে। উদাহরণস্বরূপ, কৃষিতে ব্যবহৃত ডিজেলের দাম গত বছর ৭৬ শতাংশ ও সারের দাম ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

তুরস্কের আর্থিক সঙ্কট ইউরোপের বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির সমস্যার চেয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চলছে। গত কয়েক বছরে তুর্কি লিরার মূল্য নাটকীয়ভাবে কমে গেছে।

দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে তুরস্কে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৬৪ শতাংশ। যা জার্মানিতে ছিল প্রায় পাঁচ দশমিক নয় শতাংশ। ২০১৪ সালে যেখানে এক ইউরোর বিপরীতে দুই দশমিক ৯৩ লিরা ছিল, বর্তমানে তা ৩৪ লিরা পর্যন্ত পৌঁছেছে।

কৃষকদের ঋণের বোঝা
গত বছর কৃষকদের ৮০ শতাংশ ব্যাংক ঋণ বেড়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কৃষকদের কাছে ব্যাংকগুলোর পাওনা ১৯ বছর আগের চেয়ে ১১৮ গুণ বেশি। অপরদিকে একই সময়ের মধ্যে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ তেমন বাড়েনি।

তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) সংসদ সদস্য ওরহান সারিবাল বলেন, ‘২০০৪ সালে কৃষি, বন ও প্রাণীসম্পদ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত ঋণের পরিমাণ রাষ্ট্রীয় প্রণোদনার চেয়ে এক দশমিক সাত গুণ বেশি। যা ২০২৩ সালে এসে নয় দশমিক ছয় গুণ বেশি হয়েছে।’

সরকারের কাছ থেকে কৃষকেরা পর্যাপ্ত সহায়তা পাচ্ছেন না বলেই তারা ঋণ নিতে বেসরকারি ব্যাংকের দিকে ঝুঁকছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
সেভ দ্য চিলড্রেনে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ বনশ্রীতে কিশোরী গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার সৌদি আরবে আরব ও ইইউ কূটনীতিকদের গাজা নিয়ে আলোচনা ইউক্রেনকে দ্রুত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিতে যাচ্ছে পেন্টাগন ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৯ মিয়ানমারের জাতীয় গ্রন্থাগারে বাংলাদেশ দূতাবাসের বই অনুদান ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে : কাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সুলতান মাহমুদকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩

সকল