১৬ মে ২০২৪, ০২ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫
`


ইউক্রেনের মেসখেতিয়ান মুসলিমদের উদ্ধার করল তুরস্ক

বাসে করে মেসখেতিয়ান মুসলিমদের তুরস্কে নিয়ে আসা হচ্ছে - ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বেসামরিক ব্যক্তিরা। তুর্কি বংশোদ্ভূত মেসখেতিয়ান মুসলিম সম্প্রদায়ও এ যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হন। এসব মেসখেতিয়ান মুসলিমদের উদ্ধার করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে তুরস্ক। শনিবার এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে ডেইলি সাবাহ।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তুর্কি বংশোদ্ভূত মেসখেতিয়ান মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদের ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মেসখেতিয়ান মুসলিমদের স্থলপথে তুরস্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনের মাইকোলাইভ শহর থেকে ৯০ জন মেসখেতিয়ান মুসলিমকে বাসে করে নিরাপদে তুরস্কে নিয়ে আসা হয়। ইউক্রেনের ওই মাইকোলাইভ শহরে এখন ভয়ঙ্কর সঙ্ঘাত চলছে। তুরস্ক কর্তৃক উদ্ধারকৃত এসব মানুষদের অধিকাংশই ছিল নারী ও শিশু। পরে শরণার্থীদের নিয়ে আসা এসব বাস হামজাবেলি বর্ডার গেট দিয়ে তুরস্কে প্রবেশ করে। এ হামজাবেলি বর্ডার গেটটি তুরস্কের বুলগেরিয়া সীমান্তে অবস্থিত। পরে মেসখেতিয়ান মুসলিমদের নিয়ে আসা বাসগুলোকে স্বাগত জানান তুরস্কের শরণার্থী বিভাগের কর্মকর্তারা।

যুদ্ধকবলিত অঞ্চল থেকে ছোট শিশুদের সাথে নিয়ে আসা মেসখেতিয়ান মুসলিম নারীরা নিরাপদে তুরস্কে আসতে পেরে খুশি। কিন্তু, অনেকে স্বামী ও স্বজনদের ফেলে আসার কারণে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

আনাদোলু এজেন্সিকে নিজের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার বিষয়ে জুলেহা ইজাতোভা নামের এক নারী বলেন, ইউক্রেনের ওই অঞ্চলে গোলাবর্ষণের কারণে সেখানে বাস করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

নিজের দুঃখ প্রকাশ করে জুলেহা ইজাতোভা নামের ওই নারী বলেন, আমরা ওই এলাকা থেকে বের হয়ে যেতে পারলেও আমার তিন সন্তান সেখানে আটকা পড়েছে। তাদের বয়স যথাক্রমে ২২,২৬ ও ২৭ বছর। আমার স্বামীও সেখানে আটকা পড়েছেন। আমরা নিজেদের বাঁচিয়ে নিতে পারলেও আমাদের মন ও হৃদয় ওই ইউক্রেনেই আছে।

তিনি বলেন, ইউক্রেনের সব স্থানে এখন যুদ্ধ চলছে। রাশিয়ান যোদ্ধারা তাদের ট্যাঙ্ক ও কামান সাথে করে নিয়ে এসেছেন এবং সর্বত্র গোলাবর্ষণ করছেন।

এছাড়া তুরস্ক কর্তৃক মেসখেতিয়ান মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদেরকে সহায়তার বিষয়ে আলোকপাত করে দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানকে ধন্যবাদ দেন জুলেহা ইজাতোভা।

মেসখেতিয়ান মুসলিম সম্প্রদায়ের মকবুলে আমিরশেভা বলেন, তিনি তার স্বজনদের নিয়ে চিন্তিত। কারণ, তিনি তাদেরকে ইউক্রেনে ফেলে এসেছেন।

তুরস্কের সহায়তার বিষয়ে তিনি বলেন, আল্লাহ তুরস্কের ভালো করুক। তুরস্কের লোকেরা আমাদের অনেক যত্ন নিয়েছেন। আমি আশা করি, ইউক্রেনে চলা যুদ্ধ সমাপ্ত হবে।

সূত্র : ডেইলি সাবাহ


আরো সংবাদ



premium cement