সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের ভেতরে দুর্বৃত্তের হামলায় আহত হয়েছেন এক নার্স। শুক্রবার রাত আনুমানিক ১১টায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। দুই যুবক হাসপাতালের ছয় তলার মহিলা মেডিসিন ও সার্জারি ওয়ার্ডে ঢুকে ওই হামলা চালায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দুই যুবক মহিলা মেডিসিন ও সার্জারি ওয়ার্ডে ঢুকে একজন আয়াকে খুঁজতে থাকেন। ওই ওয়ার্ডে কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স শ্রাবনী কুচ ওই আয়া নেই বলে জানান।
তারপর দুর্বৃত্তরা তার সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে। তিনি আত্মরক্ষার জন্য চিৎকার দিলে তার বাম হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনার পর কর্তব্যরত নার্স সদস্যরা নিচে এসে জমায়েত হয়ে হাসপাতালের ডাক্তার কোয়াটারে গিয়ে বিষয়টি আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলামকে মৌখিকভাবে জানায়। তিনি শনিবার সকালে থানায় গিয়ে লিখিতভাবে জানানোর পরামর্শ দেন। পরে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নার্সদের সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে আহত সিনিয়র স্টাফ নার্স শ্রাবণী কুচ বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ে দুই যুবক পারভীন নামের এক নারী কোথায় আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন পারভীন এখানে নেই। কখন আসবে তা তিনি জানেন না। একথা বলার পরপর যুবকরা তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে একপর্যায়ে গলায় ধারালো ছুরি ধরে। পরে তিনি আত্মরক্ষার্থে বাম হাত দিয়ে গলা থেকে ছুরি সরাতে গেলে দুর্বৃত্তরা তার বাম হাতের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ওয়ার্ড সুপার ভাইজার আমেনা আক্তার বলেন, বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
ওই ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই আব্দুল মালেক খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা সামছ উদ্দিন বলেন, আমরা আইনিভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছি। দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানান তিনি।