২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কাওয়াদিঘি হাওরে আটকে আছে কচুরিপানা, ব্যাহত হবে বোরো চাষ

কাওয়াদিঘি হাওরে আটকে আছে কচুরিপানা, ব্যাহত হবে বোরো চাষ -

ভাসমান পানি না হওয়াতে এ বছর মনু নদী প্রকল্পভূক্ত কাউয়াদিঘি হাওরে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে

কচুরিপানা আটকে আছে। এসব কচুরিপানা অপসারণ না হলে বিপাকে পড়বে হাওরপাড়ের বোরো চাষীরা।

কৃষকদের অভিযোগ, সময়ের আগে কচুরিপানা অপসারণ না হলে ব্যাহত হবে আসন্ন মৌসুমের বোরো

চাষাবাদ।

কচুরিপানা অপসারণের দাবি জানিয়ে ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন

এলাকার কৃষকরা।

মনু নদী প্রকল্পের কাওয়াদিঘি হাওরের ফতেহপুর, পাঁচগাও ইউনিয়নের কৃষকরা বছরে একটি ফসল বোরো

চাষাবাদ করে থাকেন। এবারের বর্ষায় কাউয়াদিঘি হাওরের বিল, ডুবা ও নালা দিয়ে কচুরিপানা এসে

ফতেহপুর ইউনিয়নের কাশিপুর, চরকাকারপার, আব্দুল্লাহপুর, রশিদপুর, ইসলামপুর, জাহিদপুরসহ প্রায়

দশ-বারোটি গ্রামের ফসলি জমিতে আটকা পড়েছে।

এ দিকে পাঁচগাও ইউনিয়নের হাওরে কুশুয়াবিল, মেঘলি, খেচরিয়া, উলাউলি, কাটারী, নাইয়াঢিবিতে জমে

আছে কচুরিপানা।

কৃষকরা জানান, কিছুদিন পরই তাদের বোরো চাষের প্রস্তুতি নেয়ার সময়। তবে এবারে মাঠের পর মাঠ

জুড়ে কচুরিপানা। এক একটি কচুরিপানার উচ্চতা এক থেকে দেড় ফুটের বেশি। পানি কমার সাথে সাথে

ক্ষেতের জমিতে কচুরিপানার শিকড় গজাবে।

এবছর বৃষ্টিপাত কম হওয়াতে পানির অভাবে কচুরিপানাগুলো সরানো যাচ্ছে না। এখনই এসব কচুরিপানা

সরাতে না পারলে এবছর তাদের বোরো চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয় চাষিরা।

সরেজমিন কাশিমপুরে গেলে কথা হয় রশিদপুর গ্রামের কৃষক লীল মিয়া (৪০), কাশিমপুর গ্রামের আছকন

মিয়া (৩৫), আব্দুল্লাহপুরের সুমন আহমদ (৪৫) ও জাহিদপুর গ্রামের নান্টু দাসের (২৬) সাথে।
কৃষক নান্টু দাস জানান, তিনি একজন বর্গাচাষী। একই জমিতে প্রতিবছর সে বোরো চাষাবাদ করে

থাকে। তার পঁচিশ বিঘা জমিতে এখন কচুরিপানা জমে আছে। এসব কীভাবে সরাবে তা নিয়ে তিনি

চিন্তিত।

একইভাবে কাশিমপুর গ্রামে কৃষক লিটন মিয়া জানালেন, বিশ কিয়ার জমিতে বোরো চাষ করেন তিনি।

এবারে পুরো জমিতেই কচুরিপানা। কী করবেন বুঝতে পারছেন না।

রশিদপুরের কৃষক জাহিদুল ইসলাম, তিনি এ কচুরিপানার জন্য বেকায়দায় পড়েছেন। কীভাবে এসব

সরাবেন বুঝতে পারছেন না।

এভাবে একাধিক কৃষক জড়ো হয়ে তাদের নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। তারা জানিয়েছেন, দশ

থেকে বারোটি গ্রামের কয়েক হাজার কৃষকের প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে এখন কচুরিপানা।
এছাড়া মনু প্রকল্পের অধীনে হলেও তারা ক্যানেলের পানি ছাড়া সেচ টিউবওয়েলের পানিতে প্রতিবারই

বোরো চাষ করেন।

কৃষক আনসার মিয়া জানান, এবারে করাদাইর নদীর পাড়ে ৪ ফুট পানি থাকার কথা। এমন অবস্থায়

কোনো পানি নেই। এতে করে কচুরিপানা আটকে গেছে। এদিকে কৃষকরা কচুরিপানা সরানোর দাবি জানিয়ে

ইতোমধ্যে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের

নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালকের সাথে এ বিষয়ে

কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন।

অপরদিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা একাটুনা ইউনিয়নের একাধিক কৃষক বলছেন, হাওরের পানি

নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেলে রোপা আমন চাষাবাদ ব্যাহত হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলি হামলায় আহত শিশুর মুখে ২০০ সেলাই বিষখালীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান : জেলে নিখোঁজ, আহত ২ দক্ষিণ এশিয়ার যে শহরগুলোর তাপমাত্রা এখন সর্বোচ্চ গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানে অটোরিকশার ধাক্কায় হতাহত ৫ চৌগাছায় সিদ কেটে স্বর্ণের দোকানে চুরি দুর্নীতির মামলায় কৃষিমন্ত্রীকে আটক করল ইউক্রেন মোরেলগঞ্জে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

সকল