কুলাউড়ায় নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর কর্মধা ইউনিয়নের ইছমত আলী (৩০) নামক এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ৯টায় পুঁটিছড়া খাসিয়া পান পুঞ্জি এলাকার নালা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রাতভর অভিযান চালিয়ে ছয় গারো নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ।
ইছমত আলী কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের বড়গাও গ্রামের বাসিন্দা এবং ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মৃত ইছহাক আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইসমত আলী লম্বা ছড়া পানপুঞ্জিতে পাহারাদারের কাজ করতেন। কিন্তু গত ১১ অক্টোবর থেকে ইসমত আলীর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তিন দিন পর সোমবার পুঞ্জির মালিকের পক্ষ থেকে থানায় একটি জিডি করা হয়। মঙ্গলবার রাত ৯টায় তল্লাশি চালিয়ে ইসমত আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
থানায় জিডি দায়েরের পর কুলাউড়া থানা পুলিশের এসআই রহিম তদন্তে নামেন। তিনি জানান, লম্বাছড়া পুঞ্জির মালিক আউয়ালের ভাতিজা ফেরদৌস ইছমত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে কৌশলে তার স্ত্রীকে দিয়ে থানায় জিডি দায়ের করে। এতে পুলিশের সন্দেহ হলে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের মোটিভ এবং লাশের সন্ধান বের করে পুলিশ। সেই সূত্রে মঙ্গলবার রাতে পুটি ছড়া পুঞ্জির নালা থেকে নিখোঁজ ইছমত আলীর লাশ উদ্বার করা হয়।
এদিকে আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে লম্বা ছড়া পুঞ্জির গারো-খাসিয়া মিলে ছয়জনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন লম্বাছ্ড়া পুঞ্জির বাসিন্দা ছয়নলা (৪০), আশা হাকিদর (২২), রিয়া রিছিল (২২), জুয়েল (২৫), সাজিব (১৮) এবং আছকরাবাড় গ্রামের রোকেয়া বেগম (৩০)।
কুলাউড়া থানা পুলিশের এসআই রহিম জানান, ধৃতদেরকে কোর্ট সোপর্দ করা হয়েছে এবং দুপুর ২টায় এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কোর্টে আসামিদের হাজির করা হয়েছে।
তিনি জানান, আসামিরা ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জবানবন্দি না দিলে আসামিদের রিমান্ডে আনার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা