সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে এক শিশু শিক্ষার্থী ও তার পিতা নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শি ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার আনুমানিক সকাল সাড়ে ১১ টায় চাইল্ড কেয়ার স্কুল থেকে সদর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের ছাবিদুর তার ছেলে অন্তর ও মেয়ে নৈশীকে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন।
এ সময় মুষলধারের বৃষ্টি হচ্ছিল। বাড়ির কাছাকাছি হেলিপ্যাড মাঠে আসা মাত্রই আকষ্মিক বজ্রপাতের শিকার হয়ে ৩ জনই মাটিতে লুটে পড়ে। এ সময় পিতা মো. ছাবিদুর চৌধুরী ও কন্যা নৈশী আহত হন। নিহতের নাম মো: অন্তর চৌধুরী (৬)।
তিনি উপজেলা সদর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের ছাবিদুর চৌধুরীর ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা ছাবিদুর রহমান চৌধুরী ও তার কন্যা নৈশী চৌধুরী (৯) গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত অন্তর জামালগঞ্জ চাইল্ড কেয়ার কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের নার্সারী টু ক্লাশের শিক্ষার্থী।
স্থানীয় নয়াহালট একজন রাজ মিত্রী কিছু দুরে কাজ থেকে তাদেরকে মাঠে পড়ে থাকতে দেখে মিস্ত্রীর সাথের সহকর্মীকে নিয়ে তাদের উদ্ধারে কাছে যান। এ সময় মাটিতে পড়ে থাকা শিক্ষার্থী মেয়েটি উঠে তার বাবা ও ভাইকে ডেকে ডেকে বিলাপ করে কাঁদছিল। পরে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার শিক্ষার্থী অন্তরকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহতদের মধ্যে নিহতের পিতা সাফিজুর রহমানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সিলেটে প্রেরণ করা হলে রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ারপর চিকিৎসারত অবস্থায় ছাবিদুর চৌধুরী মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন তার বড় ভাই ওবায়দুর চৌধুরী।
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সাইফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নিহতের বাড়িতে পুলিশ পরিদর্শন করে তাদের শান্তনা দিয়েছেন বলে জানান। নিহত শিক্ষার্থীর রূহের মাগফেরাত কামনা ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন চাইলন্ড কেয়ার কিন্ডার গার্টেনের প্রিন্সিপাল ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, সহকারী প্রিন্সিপাল খায়রুল কবীর চৌধুরী এসদোহা, দৈনিক নয়াদিগন্তের সুনামগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ, চাইল্ড কেয়ার কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষিকা মাখসুদা আক্তার রুনী, রাশেদা বেগম, ফরিদা বেগম, শিউলী রানী দেবনাথ, অমিসুলতানা শাহী, হোমায়রা, পিংকী, জুঁইসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। পিতা পুত্রের নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় জামালগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে এসছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা