সিলেটের ওসমানীনগরে ধর্ষণ করে ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে তা ছড়িয়ে অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করেছে থানা পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সফজ্জুল মিয়া (৩৮)। তিনি উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের ভাড়েরা গ্রামের আকলুছ মিয়ার ছেলে।
গতকাল শুক্রবার তাকে সিলেট আদালতে বিচারকের সামনে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা।
জানা যায়, গত ২ বছর আগে একই উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের সুরতপুর গ্রামের বাসিন্দা ৩ সন্তানের জননী বিধবা বেহুলাকে (ছদ্মনাম) সিলেট শহরের মাজারগেইটস্থ একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে সফজ্জুল মিয়া। এরপর ভিডিওটি তার পরিচিত বিভিন্নজনের কাছে প্রচার করে অভিযুক্ত সফজ্জুল।
পাশাপাশি এ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হবে এরকম ভয় দেখিয়ে গত ২ বছরে বেহুলার কাছ থেকে নগদ টাকা হাতিয়ে নেয় সফজ্জুল মিয়া এবং বিভিন্ন সময়ে ওই বিধবাকে ধর্ষণ করে থাকে।
গত বৃহস্পতিবার বেলা ২টার সময় আবার বেহুলাকে ধর্ষণের জন্য গোয়ারাবাজারস্থ দাশপাড়া রোডে একটি বাসায় ডেকে আনেন সফজ্জুল। এসময় তাকে ধর্ষণ ও মারধর করে টাকা দাবি করেন তিনি। রাত ১০টার সময় বেহুলা ওসমানীনগর থানায় এসে বিষয়টি ওসি এস এম আল মামুনকে জানান।
এ সময় ওসি আল মামুন অভিযুক্ত বেহুলাকে দিয়ে সফজ্জুলকে ধরার জন্য ফাঁদ পাতেন। ওসির কথামতো বেহুলা তাকে ফোন করে কাকুতি মিনতি করে টাকা নিয়ে আসার কথা বললে সে বাসায় আসতে বলে। এরপর ওসি আল মামুন এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোয়ালাবাজারস্থ সফজ্জুলের ভাড়া বাসায় গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।
তাকে গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ধর্ষণের চিত্র ধারণকরা মোবাইল সেট এবং মেমোরি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ওসমানীনগর থানায় ধর্ষণ ও পর্নগ্রাফি আইনে দু’টি (ধর্ষণ মামলা নং-১২ এবং পর্নগ্রাফি মামলা নং-১৩) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে তাকে সিলেট আদালতে বিচারকের সামনে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধী প্রদানের জন্য হাজির করা হলে সে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ বিচারকের সামনে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের এসআই গৌতম।
ওসমানীনগর থানার ওসি এস এম আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন : স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ ও ভিডিওধারণ : ধর্ষক গ্রেফতার
শরীয়তপুর সংবাদদাতা, ২১ মার্চ ২০১৯, ১৮:২০
শরীয়তপুরের জাজিরায় স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ মামলায় সামসুল হক নামে এক পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদারীপুর র্যাব-৮ এর একটি দল বৃহস্পতিবার জাজিরা উপজেলা পরিষদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর আসামীকে জাজিরা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর জাজিরা থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতে প্রেরণ করে।
মাদারীপুর র্যাব-৮ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখ শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার আাক্কেল মাহমুদ মুন্সী কান্দি গ্রামের মৃত আঃ খালেক মুন্সীর ছেলে সামসুল হকসহ ৪ আসামী মিলে এক স্কুলছাত্রীকে স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণ করে ও এই ঘটনার ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে। ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী জাজিরা মহর আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
এ ঘটনার পর ভূক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে জাজিরা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর আসামী সামসুল হককে র্যাব-৮ গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে আদালত থেকে জামিন নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় সামসুল হক। এরপর আদালত তার বিরুদ্ধে আবারো গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিন এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ আভিযানিক দল জাজিরা উপজেলা পরিষদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় গণধর্ষণ পূর্বক ভিডিও ধারণ মামলার ০১নং আসামী সামসুল হক (৩৪) কে গ্রেফতার করে জাজিরা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জাজিরা থানার ওসি মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা