২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাষ্ট্রপতির অনুমোদন, পাকিস্তানে সেনাপ্রধান নিয়োগ নিয়ে সংশয়ের অবসান

পাকিস্তানের নব-নিযুক্ত সেনাপ্রধান লে. জেনারেল আসেম মুনির (বামে) ও জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান লে. জেনারেল শাহির শমশাদ মির্জা - ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে নতুন নিয়োগ অনুমোদন করেছেন। এর ফলে সেনাপ্রধান পদে লে. জেনারেল আসেম মুনির ও পরবর্তী জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে লে. শাহির শামশাদ মির্জার নিয়োগ নিয়ে অনিশ্চয়তার অবসান ঘটল।

এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রপতির সচিবালয় জানায়, রাষ্ট্রপতি ড. আরিফ আলভি লে. জেনারেল শাহির শামশাদ মির্জাকে জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি হিসেবে নিয়োগ করেছেন। এই নিয়োগ কার্যকর হবে ২৭ নভেম্বর। প্রেসিডেন্ট লে. জেনারেল সৈয়দ আসেম মুনিরকে জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ করেছেন। এই নিয়োগ কার্যকর হবে ২৯ নভেম্বর।

নিয়োগ নিশ্চিত হওয়ার পর জেনারেল মুনির ও জেনারেল মির্জা পৃথক পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভির সাথে সাক্ষাত করেন।

পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সেনাবাহিনী প্রধান ও য়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হলেও এ নিয়ে দেশটিতে নানা জল্পনা কল্পনার সৃষ্টি হয়। কারণ এর পরপরই রাষ্ট্রপ্রধান বিরোধী পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ইমরান খানের সাথে বৈঠকের জন্য লাহোর যান।
এই সভার দিকে সবার নজর ছিল। বুধবার রাতে ইমরান খান বলেছিলেন, সেনাবাহিনীর এই নিয়োগ নিয়ে তিনি ও রাষ্ট্রপতি আলভি 'আইনগত ও সাংবিধানিকভাবে' কাজ করবেন।

তবে সরকার আশা করছিল যে এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।

আলভি-ইমরান বৈঠকের পর পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন যে পিটিআই প্রধানের সাথে সভা নিয়ে প্রেসিডেন্ট হাউস একটি বিবৃতি ইস্যু করবেন। তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রপতি ও ইমরান খান সেনাপ্রধান নিয়োগ নিয়ে সাংবিধানিক, রাজনৈতিক ও আইনগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

তবে ইসলামাবাদ পৌঁছেই রাষ্ট্রপতি আলভি নিয়োগ দুটি চূড়ান্ত করেন।
রাষ্ট্রপতি যদি এই নিয়োগ অনুমোদন না করলে সরকার তার গৃহীত প্লান বি নিয়ে অগ্রসর হতো।

লে জেনারেল মুনির পাকিস্তানের গোয়েন্দাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। তিনি ২৯ নভেম্বর অবসর গ্রহণ করবেন। তিনি ছয় বছর ওই দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সেনাপ্রধান নিযুক্ত হয়েছিলেন ২০১৬ সালে। ২০১৯ সালেই তার অবসরগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু পিটিআই সরকার তার মেয়াদ তিন বছর বাড়ায়।

তবে লে. জেনারেল মির্জা ২৭ নভেম্বর চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তিনি জেনারেল নাদিম রাজার স্থলাভিষিক্ত হবেন। বাজওয়ার আগেই অবসর নেবেন নাদিম।

সূত্র : জিও নিউজ


আরো সংবাদ



premium cement