০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রেকর্ড করতে না পেরে হতাশ সবুজ

-

প্রিমিয়ার হকি লিগে নতুন রেকর্ড থেকে মাত্র তিন গোল পেছনে ছিলেন মেরিনার্সের ডিফেন্ডার সোহানুর রহমান সবুজ। কিন্তু তিনি পারলেন না ২৯ বছর আগে করা উষার রফিকুল ইসলাম কামালের করা ৪০ গোলের রেকর্ড টপকাতে। ৩৯ গোলেই থামতে হলো তাকে। গতকাল মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে মেরিনার্স ৪-২ গোলে হারায় পুলিশকে। যেখানে এক গোল রয়েছে সোহানের। বাকি গোলের মধ্যে মঈনুল ইসলাম দু'টি ও রাজেন্দর সিং একটি করেন। পুলিশের হয়ে দীপক দুই গোল শোধ দেন। এই জয়ে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে খেলা শেষ করল মেরিনার্স।
খুব কাছে গিয়েও রফিকুল ইসলাম কামালের রেকর্ড ছুঁতে পারলেন না সোহানুর রহমান সবুজ। নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশের বিপক্ষে ছয়টি পিসির সুযোগ কাজে লাগাতে না পেরে সবুজকে থামতে হলো ৩৯ গোলে। তাতে ১৯৯৫ সালে উষা ক্রীড়া চক্রের হয়ে কামালের করা ৪০ গোলের রেকর্ড অক্ষুন্ন থাকল।

আগের ম্যাচে অ্যাজাক্সের বিপক্ষে চার গোল করা দলের জয়ে গতকাল সবুজ করেছেন ১ গোল। সেটি পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে। তার আগে পরে ছয়টি পিসি থেকে একটি গোলও করতে পারেননি। ম্যাচ শুরুর প্রথম ছয় মিনিটের মধ্যে তিনটি পিসি পেয়েছিল মেরিনার্স। তবে সবুজ পারেননি সফল লক্ষ্যভেদ করতে। এরপর দলের চতুর্থ পিসিটি আর তাকে নিতে দেননি কোচ।
১৯ মিনিটে ভারতীয় রাজিন্দ সিং পিসি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। পিসিতে যখন হচ্ছিল না, বারবার আক্রমণে উঠে সবুজ চেয়েছিলেন ফিল্ড গোল করে রেকর্ড ছুঁতে। ২৫ মিনিটে ভালো একটা গোলের সুযোগ নষ্ট করে ক্ষোভ-হতাশায় স্টিক কয়েকবার আছাড় মারেন এই তারকা। ৩৩ মিনিটে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে দলের চতুর্থ গোল করে অবশ্য আশা জাগিয়েছিলেন সবুজ। তবে পরে আরো তিনটি পিসির সুযোগ হাতছাড়া করে রেকর্ডের মালিক হতে পারলেন না তিনি।

ম্যাচের শেষ মিনিটেও সুযোগ পেয়েছিলেন পিসি থেকে গোল করার। সেটাও না পারায় টিকে যায় কামালের ৪০ গোলের রেকর্ড। কামাল ৪০ গোলের রেকর্ড করেছিলেন ১৫ ম্যাচে। সবুজও ৩৯ গোল করেছেন ১৫ ম্যাচে। এর আগে ২০১৬ সালে রাসেল মাহমুদ জিমি ৩৭ গোল করেছিলেন।
সবুজের খেলায় বোঝাই গেছে রেকর্ডের চাপে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেননি। নিজেও স্বীকার করেছেন চাপ নিতে না পারায় পিসিগুলো থেকে গোল করতে পারেননি, আক্ষেপ তো থাকবেই। একটু খারাপ তো লাগেই। খুব কাছে গিয়েও রেকর্ড ভাঙতে পারিনি। কিছুটা চাপও নিয়ে ফেলেছিলাম। তবে এটা নিয়ে ভেবে লাভ নেই। দল জিতেছে এটাই বড় কথা। সামনে আবার চেষ্টা করা যাবে। আশা ছিল যে পারব কিন্তু হয়ে উঠেনি।
রেকর্ড টিকে থাকায় কিছুটা খুশি কামালও, ৪০ গোল বিশাল ব্যাপার। রেকর্ডটা টিকে থাকায় শুকুর আলহামদুলিল্লাহ। আগামী ২৮ বছরেও এমন সুযোগ আসবে কি না জানি না। ভেবেছিলাম সবুজ এবার পারবে। তবে ও অনেক সুযোগ নষ্ট করেছে। তারপরও ওর জন্য থাকছে অভিনন্দন ও শুভ কামনা।


আরো সংবাদ



premium cement