প্রথম বিভাগ হকিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই ধারা বজায় রেখে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব। পরাজয় তো দূরের কথাÑ কোনো দলের সাথে ড্র পর্যন্ত করেনি। তবে শেষ ম্যাচে হকি ঢাকা ইউনাইটেডের খেলোয়াড়রা দিলকুশাকে একটু হলেও চিন্তায় ফেলতে পেরেছে। এ ছাড়া বাকি ম্যাচগুলোতে তারা ছিল বিনদাস। গতকাল লিগের সবচেয়ে আকর্ষণীয়, চিত্তাকর্ষক ও টেনশানযুক্ত ম্যাচে দিলকুশা ৪-৩ গোলে হকি ঢাকা ইউনাইটেডকে (এইচডিইউ) হারিয়ে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে উঠে গেল প্রিমিয়ার লিগে। আগেই অবনমন হয়েছে কোনো পয়েন্ট না পাওয়া বর্ণকের। লিগে ৩১ গোল করে সেরা গোলদাতা দিলকুশার ভারতীয় পবন মালিক।
গতকাল উভয় দল ১১টি পিসি পায়। তন্মধ্যে দিলকুশার ছয়টি। সেখান থেকে তারা দু’টিই কাজে লাগায়। আর একটি কাজে লাগাতে পারে এইচডিইউ। গোল মিসের মহড়ায়ও কম যায় না দল দু’টি। দিলকুশা চারটি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করে। তন্মধ্যে দু’টি ওপেন নেট। এইচডিইউ ওপেন নেট না পেলেও দু’টি কানেক্ট মিস করে দ্বিতীয় শীর্ষে থাকা দলটি।
দিলকুশার কোচ হেদায়েতুল ইসলাম রাজীব জানালেন, ‘আমরা জয়ের জন্যই মাঠে নেমেছিলাম এবং তা পূর্ণ করেই মাঠ ছেড়েছি। দিলকুশা এখন প্রিমিয়ারের দল। দ্বিতীয় বিভাগ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম বিভাগে উঠেছি। এবার প্রথম বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রিমিয়ারে উঠলাম। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই দল গঠন করেছেন কর্মকর্তারা। খেলার মধ্যে কিছু টেনশন থাকলেও আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ছিল আমরা জিতব। সারা ম্যাচেই আমরা এগিয়ে ছিলাম।’
অবশ্য পুরো ম্যাচে দর্শকদের মন এবং নজর কেড়েছে এইচডিইউর খেলোয়াড়রা। প্রথম ৫ মিনিট তো তাদের সম্মিলিত আক্রমণগুলো ঠেকাতেই ব্যাস্ত ছিল দিলকুশার রক্ষণভাগ। হঠাৎ করেই ধারার বিপরীতে পিসি পায় দিলকুশা। সেখান থেকেই গোল করে দলকে এগিয়ে নেন হৃদয় শেখ (১-০)। অথচ শুরুর মিনিটেই প্রথম পিসি পায় এইচডিইউ। সেটি থেকে গোল আদায় করতে পারেননি সজীব হোসেন সিফাত। ২৫ মিনিটে আবারো পিসি থেকে মিলনের পুশ, হৃদয়ের স্টপ থেকে বিদেশী রিক্রুট পবন মালিক দ্বিতীয় গোলটি আদায় করে নেন (২-০)। ৪১ মিনিটে আরাফাত হোসেন পিয়াল একটি গোল শোধ দেন (২-১)। ৪৬ মিনিটে হৃদয়ের থ্রু থেকে মিলন হোসেন চমৎকার কানেক্ট করে দিলকুশাকে এগিয়ে নেন (৩-১)। দুই মিনিট পরেই ইমরানের দুর্দান্ত ভেল্কিতে পরাস্ত দিলকুশার কিপার শাকিল (৩-২)। একটা সকলের মনে হয়েছে ম্যাচটি ড্রর দিকেই যাবে। ঠিক ওই সময় ৫০ মিনিটে রাজনের গোলে দলে স্বস্তি আসে দিলকুশার (৪-২)। একই মিনিটে পিসি থেকে সজীব হোসেন সিফাত গোল জমে উঠে ম্যাচ (৪-৩)। এরপর আর কোনো গোল না হলে জয়ের উল্লাসে মেতে উঠে দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব।
এ দিকে সুন্দর খেলা উপহার দেয়ায় খুশি এইচডিইউর কর্ণধার সাজিদ এ এ আদেল। তার কথায়, ‘দিনটি ওদের ছিল বলে আমরা জিততে পারিনি। ছেলেরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। কয়েকটি মিস না হলে ফলাফল অন্য রকম হতে পারত। যার যার পজিশন থেকে সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছে, এ জন্য আমি তাদের ওপর খুশি। তবে জিততে পারলে আরো বেশি ভালো লাগত। দিলকুশার জন্য শুভ কামনা।’
সমাপনী খেলায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান ও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সভাপতি এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত পুরস্কার দেন।
প্রথম বিভাগ হকির পয়েন্ট টেবিল
দল খেলা জয় ড্র হার গোল পয়েন্ট
দিলকুশা ১০ ১০ ৯১ ৩০
এইচডিইউ ১০ ৮ ১ ১ ৮৩ ২৫
পিডব্লিউডি ১০ ৭ ৩ ৩৫ ২১
ব্যাচেলর্স ১০ ৬ ১ ৩ ৪১ ১৯
কম্বাইন্ড ১০ ৬ ৪ ৩১ ১৮
রেলওয়ে ১০ ৪ ১ ৫ ১৩ ১৩
শিশুকিশোর ১০ ৩ ৩ ৪ ১১ ১২
মুক্তবিহঙ্গ ১০ ২ ২ ৬ ১৩ ৮
ফরাশগঞ্জ ১০ ২ ১ ৭ ১৯ ৭
শান্তিনগর ১০ ২ ১ ৭ ১৯ ৭
বর্ণক সমাজ ১০ ১০ ৫ ০
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা