২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আশুরার রোজা : গুরুত্ব ফজিলত সময়

আশুরার রোজা : গুরুত্ব, ফজিলত ও সময় - ছবি : সংগৃহীত

আশুরার রোজার গুরুত্ব
রমজান মাসের রোজা মুসলিমদের ওপর ফরজ। ফরজ রোজা ছাড়াও ইসলামে বেশ কিছু নফল রোজা পালনের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। সেগুলোর একটি হলো- হিজরি বর্ষের প্রথম মাস- মহাররমের রোজা। যা আশুরা অর্থাৎ ওই মাসের ১০ তারিখকে কেন্দ্র করে রাখা হয়। এ ব্যাপারে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রমজান ও আশুরায় যেরূপ গুরুত্বের সাথে রোজা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি।’ (সহিহ বুখারি : ১/২১৮)

আশুরার রোজার ফজিলত
অন্যান্য নফল রোজার তুলনায় আশুরার রোজার মর্যাদা অনন্য। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি এ রোজার ব্যাপারে খুব আগ্রহী থাকতেন এবং তার জন্য অপেক্ষা করতেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘ফজিলতপূর্ণ দিন হিসেবে আশুরার রোজা ও এ মাসের রোজা অর্থাৎ রমজানের রোজার ব্যাপারে মহানবী সা:-কে যত বেশি আগ্রহী দেখেছি অন্য রোজার ব্যাপারে তদ্রূপ দেখিনি।’ (সহিহ বুখারি (১৮৬৭) এই হাদিসের আরবি শব্দ ‘يتحرى’ শব্দের অর্থ- সওয়াব প্রাপ্তি ও আগ্রহের কারণে তিনি এ রোজার প্রতীক্ষায় থাকতেন।

আশুরার রোজার ফজিলতের ব্যাপারে আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত এক হাদিসে নবী করিম সা: বলেন, ‘রমজানের পর আল্লাহর মাস মহররমের রোজা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২/৩৬৮)

আশুরার রোজায় গোনাহ মাফ হয়
আশুরার রোজা পালনে যেমন অফুরন্ত সওয়াব অর্জিত হয়, তেমনি এদিন রোজা রাখলে গোনাহও মাফ হয়। আলী রা:-কে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিল, রমজানের পর আর কোনো মাস আছে, যাতে আপনি আমাকে রোজা রাখার আদেশ করেন? তিনি বললেন, এই প্রশ্ন আল্লাহর রাসূল সা:-এর কাছে জনৈক সাহাবি করেছিলেন, তখন আমি তার খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। উত্তরে রাসূল সা: বললেন, ‘রমজানের পর যদি তুমি রোজা রাখতে চাও, তবে মহররম মাসে রাখ। কারণ, এটি আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যে দিনে আল্লাহ তাআলা একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অন্যান্য জাতির তওবা কবুল করবেন।’ (জামে তিরমিজি, হাদিস : ১/১৫৭)

আশুরার রোজা কয়টি ও কখন রাখব?
আশুরার রোজা মূলত ১০ই মহররমের রোজা। তবে এই রোজার সাথে আরো একটি রোজা মিলিয়ে রাখার ব্যাপারে হাদিসে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ এবং তাতে ইহুদীদের বিরোধিতা কর, আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোজা রাখ।’ (সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস : ২০৯৫) অন্য বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ স: ইরশাদ করেন, ‘তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখো, তবে এ ক্ষেত্রে ইহুদিদের সাথে মিল না হওয়ার জন্য ১০ তারিখের আগের দিন অথবা পরের দিন আরো একটি রোজা রেখে নিয়ো।’

তাই মহররমের ৯ ও ১০ কিংবা ১০ ও ১১ দুইদিন রোজা রাখা উত্তম। অবশ্য কেউ যদি শুধু ১০ মহররম রোজা রাখে তবে সেটিও আশুরার রোজা হিসেবেই গণ্য হবে। তবে হাদিসের নির্দেশনার ওপর আমল না করার কারণে মাকরূহ তথা অনুত্তম হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত

সকল