২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কুরআন তেলাওয়াত মানসিক বিষণ্ণতা দূর করে

- প্রতীকী ছবি

সামাজিক, রাজনৈতিক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত দুশ্চিন্তা ও হতাশার কারণে মানুষের মাঝে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। মুসলিম হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, পৃথিবীতে এমন কোনো রোগ নেই, যার চিকিৎসা আল্লাহ তাআলা দেননি। মানসিক চাপসহ নানাবিধ রোগবালাই থেকে উত্তরণে ইসলামী ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকর।

আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে চায়, এ (জ্যোতির্ময় কুরআন) দ্বারা তিনি তাদেরকে শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং নিজ অনুমতিক্রমে তাদেরকে (কুফরির) অন্ধকার থেকে বের করে (ইমানের) আলোর দিকে নিয়ে যান এবং তাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন।’ (সূরা মায়িদা : আয়াত ১৫-১৬)।

কুরআন তেলাওয়াত মানুষের অন্তরকে প্রফুল্ল করে তোলে। কেননা, তেলাওয়াত মুমিনের প্রফুল্লতার অনন্য উৎস। শুধু তাই নয়, কুরআন তেলাওয়াতে মুমিনের মনের প্রফুল্লতা ও মানসিক প্রশান্তি বাড়তে থাকে। কুরআনের আলোয় আলোকিত মানুষ সব দুশ্চিন্তা ও হতাশা থেকে মুক্ত থাকে।

কুরআন তেলাওয়াত ও অধ্যয়নের মাধ্যমেও হৃদয়ে প্রশান্তি আসে। কুরআন মাজিদ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি কুরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা সব রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত।’ (সূরা: বানি ইসরাঈল, আয়াত: ৮২)

ইতালির বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী ৩৮ বছর বয়স্ক রোকসানা ইলিনা নেগ্রা ইসলাম গ্রহণের পর তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি পবিত্র কুরআন অধ্যয়ন করেছি। যতই পড়েছি ততই আমি মুগ্ধ হয়েছি। এই মুগ্ধতা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমি মনোবিজ্ঞানের ছাত্র। আমি সব সময় প্রশান্তির জন্য, অসুস্থতা থেকে নিরাময়ের উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা ও গবেষণা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ! আমি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি ইসলামেই রয়েছে সব কিছুর সঠিক সমাধান।’

কুরআন তেলাওয়াতের পাশাপাশি খুশুখুজু সহকারে সালাত আদায়, জিকির-আযকার, দোয়া ও আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল করার মাধ্যমে মানসিক বিষণ্ণতা দূর হয়, মনে প্রশান্তি আসে।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement