নিবন্ধনভুক্ত একজন যাত্রীও এবছর হজে যাওয়ার বাদ থাকবে না বলে জানিয়েছেন হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম। তিনি বলেন, প্রতারণা করে হাজীদের ফেলে রেখে পালিয়ে যাবেন সেই সুযোগ আর নেই। অনিয়ম আর প্রতারণার সব পথ বন্ধ করা হয়েছে। এর পরেও যদি কোনো হজযাত্রী সব কাগজপত্র হাতে না পেয়ে থাকেন জানা মাত্রই সে ব্যাপারে সহযোগিতা করবে হাব। সর্বশেষ মঙ্গলবার সৌদী এয়ারলাইন্সের মাধ্যেমে সবাইকে হজে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
সোমবার দুপুরে ঢাকার আশকোনা হজ অফিসে হাব আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। হাব সভাপতি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি এজেন্সির বিরুদ্ধে হজযাত্রীদের সাথে হয়রানি করার অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তাদের নাম লিখে রাখছি । বিশেষ করে স্বদেশ ওভারসিস ও বিদেশ ভ্রমণ নামের দুটি এজন্সির বিরুদ্ধে হজযাত্রীদের সাথে প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ পেয়েছি। আমরা হজের পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ হাবের সদস্যপদও স্থগিত করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাব সভাপতি জানান, যদিও ৫ আগস্ট বাংলাদেশ বিমানের হজ ফ্লাইট আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হচ্ছে তবে সৌদি এয়ারলাইন্সের আরো কয়েকটি হজ ফ্লাইট ৬ আগস্ট পর্যন্ত চালু থাকবে। এর মধ্যে অন্যান্য হজযাত্রীরা যেতে পারবেন।
এখন পর্যন্ত ২২২ জন যাত্রীর ভিসা করার বাকি আছে- বিষয়টি হাব সভাপতির দৃষ্টিতে আনলে জবাবে তিনি বলেন, এটা সংখ্যায় খুব বেশি নয়। কেননা গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৫৩৫ জন। প্রতি বছরই এমন কিছু হজযাত্রী থাকেন যারা অসুস্থতা কিংবা মারা যাওয়ার কারনে তাদের ভিসা করা হয় না কিংবা ভিসা বাতিল করতে হয়। এক লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন হজযাত্রীর মধ্যেই হজে না যাওয়ার এই সংখ্যা খুবই কম। এছাড়া এবছর ডেঙ্গু ও অন্যান্য কারণেও অনেকে হজে যেতে পারছেন না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা