০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রংপুরে বিএমডিসি সভাপতির গাড়ি আটকে দিলেন নর্দান মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা

মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া শুরুর আশ্বাস
রংপুরে বিএমডিসি সভাপতির গাড়ি আটকে দিলেন নর্দান মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা - ছবি : নয়া দিগন্ত

রংপুরের অনুমোদনহীন নর্দান প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভর্তির অভিযোগে কলেজটির ৩০০ শিক্ষার্থী ধারাবাহিক আন্দোলনের ডাক দেয়। আন্দোলনের ১১ দিনের মাথায় মঙ্গলবার বিএমডিসির সভাপতি ডা: শহিদুল্লাহ শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে এক কিলোমিটার হেঁটে রংপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হন নর্দান প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১টার দিকে রংপুরে সফররত বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডা: শহিদুল্লাহ কলেজ থেকে বের হয়ে এলে তার গাড়ি আটকে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনেক শিক্ষার্থীদের রাস্তায় শুয়ে পড়তে এবং ডা: শহীদুল্লাহর পা জড়িয়ে ধরতে দেখা গেছে।

একপর্যায়ে ডা: শহীদুল্লাহ হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর থেকে এই বিষয়ে একটি চিঠি মন্ত্রণালয়ে জমা হয়েছে। আজ অথবা আগামীকালের মধ্যেই নর্দান প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করা ২১ শিক্ষার্থীর ইন্টার্নি এবং অন্যান্য বর্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরকে অন্য কলেজে মাইগ্রেশনের ব্যবস্থার জন্য চিঠি ইস্যু করা হবে। এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হাততালি দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান।

তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ৯ মাস আগে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তা বাস্তবায়ন হয়নি। সে কারণে ঘোষণা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) প্রেসিডেন্ট ড: শহীদুল্লাহ জানান, এ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। কালকের মধ্যেই সমাধান হবে। যাতে পাশ করা শিক্ষর্থীরা ইন্টার্ন করতে পারে এবং বাকিরা অন্য কলেজে ভর্তি হতে পারে।

তবে ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র আলমগীর কবির জানিয়েছেন, এর আগেও পাস করা ২১ জনের ব্যাপারে একটি ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা চাই লিখিত এবং বাস্তবায়ন। সেটি না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে নর্দান মেডিক্যাল কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হলেও সকল শর্ত পূরণ না করায় কলেজটির একাডেমিক নবায়ন ও বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যায়। এর পরের বছর কলেজটির ১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনও বাতিল হয়ে যায়। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ চতুরতার আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্টে রিট করে পত্রিকায় তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন থাকার মিথ্যা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে গত সেশন পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করায়। এভাবে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করে প্রতিষ্ঠানটি শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের।


আরো সংবাদ



premium cement