২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সৈয়দপুরে পশু খাদ্যের চরম সঙ্কট, দিশেহারা খামারীরা

সৈয়দপুরে পশু খাদ্যের চরম সঙ্কট, দিশেহারা খামারীরা -

নীলফামারীর সৈয়দপুরে পশুখাদ্যের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানির তৈরী খাদ্যের সাথে সাথে দাম বেড়েছে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গোখাদ্যের। বিশেষ করে খড়ের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানেই বৃদ্ধি পেয়েছে তিনগুন। গত ৫ দিন যাবত অনবরত বৃষ্টির কারণে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

ফলে পশু মালিক সাধারণ গৃহস্থসহ খামারীদের ত্রাহি অবস্থা। দরিদ্র ও নিম্নবৃত্তের অনেকেই চড়া দামে খড়, ঘাস, পাতাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাদ্য কিনতে না পেয়ে বাধ্য হয়ে পশুই বিক্রি করে দিচ্ছেন নামকা ওয়াস্তে মূল্যে। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যাপকভাবে।

উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের বটতলী ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আবুল জানান, তার তিনটি গরু ও পাঁচটি ছাগল আছে। নিজস্ব জমিতে আবাদকৃত ধানের যেটুকু খড় ছিল তা দু’মাস আগেই শেষ হয়েছে। বাধ্য হয়ে বাজার থেকে অল্প অল্প করে খড় কিনে পশুগুলোর খাবার যোগান দিচ্ছি। কিন্তু আজ খড় কিনতে এসে না নিয়েই ফিরে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহেই যে খড় ৪ শ’ টাকা পন (৮০ আটি) ছিল তা আজ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২ শ’ টাকা দরে। একটু নিম্ন মানেরটার দাম হাজার টাকা পন। দাম বেড়েছে প্রায় তিনগুণ।

পৌরসভার নয়াটোলা মহল্লার জাকির হোসেন বলেন, শখের বসে কয়েকটা গরু-ছাগল পালন করছি। কিন্তু দেখছি প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো পশুখাদ্যের দাম বাড়ছে। গমের ভূষি, ছোলার খোসা, মশুর ডালের গুড়া, চালের খুদের দাম গত দুই মাসে প্রায় দেড় থেকে দুই গুণ বেড়েছে। বিদেশী ঘাসের আটি (বোঝা) দশ টাকায় স্থির থাকলেও তা এখন পরিমাণে কমে গেছে। আগের আটিগুলো একহাতে ধরা যেতনা আর এখন সাইজ এতটাই পাতলা বা চিকন করা হচ্ছে যে দুই আটি একসাথে এক হাতের মুঠিতে ধরতে অসুবিধা হচ্ছে না।

সৈয়দপুরের স্বনামধন্য ইউসুফ ডেইরী এ্যান্ড গরু মোটাতাজাকরণ ফার্মের মালিক রোটারিয়ান জামিল আশরাফ মিন্টু বলেন, গত কয়েকদিনে খড়ের দাম যেন আকাশচুম্বী হয়ে পড়েছে। গত বছর সংগ্রহকৃত খড়ের মজুদ শেষ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছি। এখন তো খড় কেনা নিয়ে হিমশিম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম পশুরহাট সৈয়দপুরের উত্তরা আবাসন সংলগ্ন ঢেলাপীরহাটের খড় বিক্রেতা আব্দুল্লা খড়ের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারে জানান, মূলত গ্রামাঞ্চলের বড় বড় গৃহস্থরা খড়ের গোলা তৈরী করে খড় সংরক্ষণ করেন। আর ব্যবসায়ীরা মৌসুমে খড় সংগ্রহ করে মজুদ গড়ে তোলে। এবার পর পর কয়েক দফায় বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে জেলার সকল গৃহস্থরই গোলার খড় নষ্ট হয়েছে। ফলে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। ব্যাবসায়ীদের যেটুকু আছে তাও অধিক মুনাফার আশায় প্রয়োজনীয় পরিমাণে বাজারে না ছেড়ে আটকে রাখায় সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। এতে চাহিদা থাকায় হু হু করে দাম বাড়ছে। যা এখন সাধারণের নাগালের বাইরে। এভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে দাম আরও বাড়বে এবং পশুখাদ্য নিয়ে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। 


আরো সংবাদ



premium cement
‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

সকল